কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক। তাঁর বক্তব্য— “ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, যারা এই দেশে জন্মেছে কেবল তারাই ভোট দেওয়ার অধিকার পাবে”— এই মন্তব্যকে সংবিধানবিরোধী ও ন্যক্কারজনক বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূলের অভিযোগ, এই মন্তব্যের মাধ্যমে বিজেপি নেতৃত্ব দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। দলীয় এক বিবৃতিতে তৃণমূলের মুখপাত্ররা বলেন, “অমিত শাহের যুক্তি অনুযায়ী, দেশভাগের পরে ভারতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা লক্ষ লক্ষ মানুষ, এমনকি মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরাও ‘অবৈধ’ বলে গণ্য হবেন।”

তৃণমূলের দাবি, অমিত শাহের বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব ভারতীয় ইতিহাস, ভূগোল ও সংবিধান সম্পর্কে অজ্ঞ। “আজকের ভারত দেশভাগের পরে গঠিত হয়েছে— সেই বাস্তবতাই আমাদের সমাজের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করেছে,” বলেন দলের রাজ্য মুখপাত্র। তাঁর মন্তব্য, “অমিত শাহের যুক্তি মানলে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদবানি কিংবা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরেরও ভোটাধিকার থাকার কথা নয়।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের তরফে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে অমিত শাহকে লক্ষ্য করে। দলের বক্তব্য, “এসআইআর আসলে এনআরসির বিকল্প রূপ। নাগরিকত্ব যাচাইয়ের নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার এক গোপন ফাঁদ এটি। এবার অমিত শাহ নিজেই সেই সত্যিটা স্বীকার করে ফেলেছেন।” তৃণমূলের দাবি, বিজেপির প্রকৃত লক্ষ্য বাংলার মানুষকে বিভাজন করা, নাগরিকত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং কোটি কোটি বাঙালিকে ‘অবৈধ’ তকমা দেওয়া। “অমিত শাহের এই মন্তব্যে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে,” বলেন এক তৃণমূল নেতা।

আরও পড়ুন – বৃষ্টি – দুর্যোগ কাটতেই দার্জিলিংয়ে ফের শুরু সরস মেলা

_

_

_

_

_
_


