বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই গুলি চলল হরিদেবপুরে। অভিযুক্তের নাম বাবলু ঘোষ। সোমবার ভোরে গুলি চলার সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্য়ে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। যে বন্দুক থেকে গুলি (firing) চালানো হয়েছিল, সেই অস্ত্রের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। কীভাবে সে এই বন্দুক (gun) পেল, তা নিয়েও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

তদন্তে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত আক্রান্ত মহিলার প্রতিবেশী। দুজনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (extra marital affair) ছিল প্রায় চার বছরের। আক্রান্ত মহিলা মৌসুমী হালদার। তাঁর পুত্র সন্তানও রয়েছে। এদিকে বাবলুর স্ত্রী ৫ বছর আগে মারা গিয়েছে। তাঁর কন্যা সন্তান রয়েছে। মৌসুমী এবং বাবলু নাকি গোপনে বিয়েও সেরেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকতো। তবে দিন কয়েক ধরে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইতেন মৌসুমী। তার প্রতিশোধ নিতেই মৌসুমীকে প্রাণে মেরে ফেলার ছক কষেছিলেন বাবলু। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মৌসুমী এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সোমবার ভোরে কালো জ্যাকেট ও হেলমেট পরে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। সেই সময়ে মৌসুমী হালদার প্রাতঃভ্রমণে সেই রাস্তা দিয়ে আসেন। দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই বন্দুক বের করে অভিযুক্ত বাবলু। তখনই পালানোর চেষ্টা করেন মৌসুমী। ফলে গুলি লাগে (bullet injury) তাঁর পিঠে। এরপরই পড়ে গিয়ে তিনি চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় বাবলু।

আরও পড়ুন: ভোরবেলায় গুলি! হরিদেবপুরে গুলিবিদ্ধ মহিলা

ঘটনাস্থলে ফরেনসিক তদন্ত (forensic enquiry) চলবে। গার্ড রেল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। বাবলু ঘোষ মাংস ব্যবসায়ী। ঘটনা জানাজানি হতেই সে পালানোর চেষ্টা করে। তবে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার সঙ্গে এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তদন্ত চালাচ্ছে হরিদেবপুর পুলিশ।

–

–

–

–

–


