রাজ্যে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা সংশোধনীর কাজ বা এসআইআর। ঠিক এই সময়েই আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নাগরিক ও শরণার্থীদের মুক্তির দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাই কোর্টে।

আবেদনকারী গোপাল গোয়ালির দাবি, ২০২৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল যে, এই তিন দেশের সংখ্যালঘু নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মানুষ রাজ্যগুলির কারাগারে আটক রয়েছেন। তাই তাঁদের দ্রুত মুক্তির দাবিতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

সোমবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই বিষয়ে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ থেকে ২০২৪ সালের আগে আসা হিন্দুদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, যদিও কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাঁদের আটক না করার নির্দেশ ছিল। এমনকি নিম্ন আদালতও নানা অজুহাতে জামিন দিচ্ছে না। আইনজীবীর আরও দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের অভিভাষণ দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত সংখ্যালঘু— হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান— যারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন, তাঁদের বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই বিধান ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স (এক্সেম্পশন) অর্ডার, ২০২৫’-এর অধীনে কার্যকর হয়েছে। এই মামলার শুনানি চলতি সপ্তাহেই হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- রাজ্যের প্রতিটি জেলায় খুলছে সোশ্যাল মিডিয়া ইউনিট, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার

_

_

_

_

_

_
_


