Friday, November 7, 2025

এবার থেকে রাজ্যের স্কুলে প্রার্থনায় গাইতেই হবে রাজ্য সঙ্গীত: জারি নির্দেশিকা

Date:

Share post:

এবার থেকে রাজ্যের স্কুলে প্রার্থনায় বাধ্যতামূলক করা হল রাজ্য সঙ্গীত। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলে প্রতিদিন প্রার্থনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত “বাংলার মাটি, বাংলার জল” গান গাইতে হবে। এই নিয়ম অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল বলে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পয়লা বৈশাখকে ‘রাজ্য দিবস’ ঘোষণা করার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজ্য সঙ্গীত’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের পরই শিক্ষা দফতর স্কুল স্তরে রাজ্য সঙ্গীত প্রচলনের উদ্যোগ নেয়। বৃহস্পতিবারের নির্দেশিকা সেই সিদ্ধান্তকেই কার্যকর রূপ দিল।

শিক্ষামন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালে রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল। কবি কর্তৃক রচিত ভারতের জাতীয় সঙ্গীত “জনমনগণ অধিনায়ক জয় হে”র প্রতি বিদ্যালয়ে নিয়মিত গাওয়ার পাশাপাশি, এই রাজ্যসঙ্গীত গীত হলে, তা সমগ্র রাজ্যের সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যর বিশেষ অনুঘটক হিসেবে সর্বদা সজাগ ও সক্রিয় থাকবে বলে আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী।

 

পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মর্যাদা রক্ষায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রতিদিন সকালের প্রার্থনায় ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি গাওয়া আবশ্যক।’’ রাজ্যের শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে যাতে স্কুল প্রার্থনায় এই গানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রয়োজনে গানটির লিরিক্স ও সুরচর্চার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহায়তা করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটি রচনা করেছিলেন। দেশের ঐক্য ও বাংলার সাংস্কৃতিক গৌরবের প্রতীক হিসেবে এই গান আজও সমান প্রাসঙ্গিক। রাজ্য সরকারের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলার সংস্কৃতির প্রতি গর্ব ও আত্মপরিচয়ের বোধ আরও মজবুত হবে।

আরও পড়ুন- বিনামূল্যে হৃদরোগের চিকিৎসা – জটিল অপারেশন! ‘শিশু সাথী’ প্রকল্প নিয়ে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর

_

 

_

 

_

 

_

 

spot_img

Related articles

ব্রিটিশ-তোষণে লেখা ‘জন গণ মন’! বিজেপি সাংসদের অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের

ব্রিটিশদের তোষণ করতেই নাকি লেখা হয়েছিল ‘জন গণ মন’। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এই ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে ফের...

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...