নভেম্বরের দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট (Indian Women Cricket Team) দলের বিশ্বজয় লিখেছে নতুন ইতিহাস। গোটা দেশের বুকে বাঙ্গালী হিসেবে বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup 2025) হাতে উঠেছে শিলিগুড়ির কন্যা রিচা ঘোষের (Richa Ghosh)। আসমুদ্র হিমাচলের মতোই ভারতীয় দলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলা। ঘরের মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত গোটা রাজ্য। সোনার মেয়ে ফিরতেই তাঁকে ভালোবাসা, সম্মান আর উপহারে ভরিয়ে দিয়েছে তাঁর জন্মস্থান। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেন বঙ্গভূষণ সম্মান। শনিবার গোধূলি লগ্নে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের তরফে আয়োজিত রিচার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবেগে ভাসলেন বিশ্বজয়ী। ইডেন গার্ডেন্সে বললেন, ‘কাপ জেতা থেকে আজকের এই মুহূর্ত পর্যন্ত পুরোটা স্বপ্নের মতো লাগছে।’


ক্রিকেটের নন্দন কাননে রিচার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল তাঁর পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, সিএবি সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ঝুলন গোস্বামী-সহ (Jhulan Goswami) একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার, সিএবির অন্য পদাধিকারী, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীদের (Mimi Chakraborty) উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেল। সঞ্চালক রিচার দাপুটে ইনিংস খেলার মানসিকতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, ভারতীয় মহিলা দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার বলেন, ” চাপের মুখে খেলতে ভালো লাগে। প্র্যাকটিস সেশনেও কত সময়ের মধ্যে কতটা রান করছি সেটা হিসেব করে খেলার চেষ্টা করি।”


মাঠে ঠিক যতটা সাবলীল দেখায় তাঁকে, মাইক্রোফোন হাতে ততটাই অপটু সোনার মেয়ে। আসলে যে হাতে উঠেছে বিশ্বকাপ, যে হাত জানে বাউন্ডারি ওভার- বাউন্ডারিতে প্রতিপক্ষের বলকে ভ্যানিশ করতে তার আবেগ-ভালোবাসা সবটা জুড়ে রয়েছে শুধুই খেলা। বিশ্বকাপে সব চেয়ে বেশি ছক্কা এসেছে রিচার ব্যাট থেকে। মোট ১২টি সিক্সার হাঁকিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রিচার মতো প্রতিভা পেয়ে বাংলা গর্বিত। সৌরভ পরিস্থিতি অনুযায়ী রিচার ব্যাটিং স্ট্রোকের বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করেন। রিচাকে জিজ্ঞেস করা হয় সোনার মেডেল বাড়িতে, লকারে নাকি অন্য কোথাও থাকবে? বিশ্বজয়ী বঙ্গতনয়ার অকপট উত্তর, বাড়িতে সবথেকে সামনে থাকবে মেডেল। এই ভালো লাগা সত্যিই যেন বলে বোঝানোর নয়। খুশি রিচার পরিবারও।

–

–

–

–

–

–

–

