এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও আত্মহত্যা, কোথাও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু— ভয় ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে শহরে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন দলের মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কেরা।

রবিবার দুপুরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যান বহরমপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এসআইআর আতঙ্কে মৃত তারক সাহার বাড়িতে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, সান্ত্বনা দেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার সাহায্যের আশ্বাস দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক অপূর্ব সরকার ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।

একই দিনে সাঁইথিয়ার বিমান প্রামাণিকের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। তিনি বলেন, “বিজেপির তৈরি চক্রান্তের ফলে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছেন। তাদের কোনও লজ্জাবোধ নেই। তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার প্রতিটি মানুষের পাশে আছে, ভয় পাবেন না।”

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যা করা বিমল সাঁতরার বাড়িতেও উপস্থিত হন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে যান সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বিধায়ক অলোক মাঝি ও জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। বিমলবাবুর পরিবারের হাতে তিন লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তাঁরা এবং রাজ্যের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেন।

এছাড়াও ভাঙড়ে সফিকুল ইসলামের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ও কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী। পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিয়ে তাঁরা জানান, দলের সর্বস্তর তাঁদের পাশে রয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার কালীচরণপুর গ্রামে এসআইআর আতঙ্কে মৃত শাহাবুদ্দিন পাইকের পরিবারের কাছেও পৌঁছে যান তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছিলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বাপি হালদার ও বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন, “এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যের একাধিক জায়গায় মানুষ মারা যাচ্ছেন— এটা বিজেপির পরিকল্পিত বিভ্রান্তির ফল। ভোটার তালিকা নিয়ে ভয় দেখিয়ে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তবে মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।” তিনি আরও জানান, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় মানুষের পাশে আছেন। যতদিন মা-মাটি-মানুষের সরকার আছে, কোনও ভোটার বাদ যাবে না।”

আরও পড়ুন – বাংলাভাষায় ১০ কোটিও খরচ নয়! বাঙালিবিদ্বেষী বিজেপির রবীন্দ্র-বঙ্কিম ভাগে তোপ গণমঞ্চের

_

_

_
_

