প্রবল শক্তিশালী সুপার টাইফুন উ-ওয়ং আছড়ে পড়ল ফিলিপিন্সের অরোরা উপকূলে। রবিবার রাতে এই সুপার টাইফুনের (super typhoon) ল্যান্ডফলের পরে এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বিস্তীর্ণ এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রশাসনের পক্ষে প্রকৃত ক্ষতির খতিয়ান করা এখনই সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ফিলিপিন্সের (philippines) অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে এই টাইফুনের কারণে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিপুল বৃহৎ ঢেউ আছড়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকাকে প্লাবিত করে ফেলেছে।

সতর্কতা ছিল আগেই। যার ফলে সময়মতো ফিলিপিন্সের লুজন এলাকার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার সন্ধ্যায় ২১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ল্যান্ডফল (landfall) হয় সুপার টাইফুন (super typhoon) উ-ওয়ং-এর (Fung-Wong)। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টাইফুন কালমেঘির মুখোমুখি হয়েছিল ফিলিপিন্স। যার জেরে অন্তত ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

আরও পড়ুন: টাইফুন কালমেগির তাণ্ডব ফিলিপিন্সে: বিপর্যস্ত সেবু, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা

সুপার টাইফুন উ-ওয়ং-এর জেরে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কাগায়ান প্রদেশ। ফ্ল্যাশ ফ্লাড-এর (flash flood) জেরে চিকো নদীর জল দুকুল ছাপিয়ে ভাসিয়েছে গোটা এলাকাকে। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে কাতানদুয়ারেস, ক্যামারাইন্স সুর এবং অরোরা এলাকা। সোমবার সকাল থেকে হাজার কিলোমিটারের বেশি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। সমুদ্রের জল ঢুকে ও নদীর জলে প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি ধস নেমেছে বহু জায়গায়। বিরাট ঢেউয়ের যে সব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে সুনামির স্মৃতি ফিরে এসেছে। এখনও পর্যন্ত কত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত তা পরিমাপ করা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

–

–

–

–

–

–


