বাংলার মুকুটে গৌরবের পালক। এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সাম্মানিক ডিলিট দেওয়া হল। বুধবার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই সম্মান তুলে দিয়ে জানাল ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় (Okayama University) কর্তৃপক্ষ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সম্মান তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নাসু ইয়াসুতোমো এবং জাপানি প্রতিনিধিদল। ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রশাসনিক কর্তারা।


দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আগেও সম্মানিত হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৮-তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে D’Litt পান মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৩-এ সাম্মানিক ডি’লিট দেয় সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। ভুবনেশ্বরের ‘কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি’-র তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডক্টরেট প্রদান করা হয়। আরও এক মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি এবার তাঁর ঝুলিতে। এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় (Okayama University) তাঁকে সাম্মানিক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দরিদ্র মহিলা ও শিশুদের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই মানবিক নেতৃত্বের জন্যই ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো এশিয়ার কোনও মহিলাকে সাম্মানিক ডি-লিট দিচ্ছে।”
সম্মান গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জাপান(Japan) খুবই সুন্দর দেশ। ওখানকার মানুষের শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কর্মসংস্কৃতি থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।” তিনি জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “এই সৌজন্যকে সম্মান জানানো আমার কর্তব্য ছিল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”


মমতা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা BGBS সম্মেলনে অংশ নিতে কলকাতায় এসেছিলেন। পরে তাঁকে জাপানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী না যেতে পারলে, তাঁরা বাংলায় এসে সম্মান প্রদান করবেন বলে জানান।
আরও খবর: আগামী বছর জাপানে যাবেন: ডিলিট সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলা-জাপান সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

–

–

–

–

–

–



