মাত্র সাত মাস। তার মধ্যে দেশের দ্বিতীয় জঙ্গি হামলা। বুক ফুলিয়ে অপারেশন সিঁদুরের প্রচার চালানো বিজেপি নেতাদের নাকের ডগায় ঘুরে বেরিয়ে শেষে বিস্ফোরণ (blast)। ১২টি নিরীহ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে শেষে প্রকাশ্যে এলো দেশে ব্যাপক নাশকতার (terrorism) চক্রান্ত। লালকেল্লায় (Lal Quila) মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণে প্রাণহানি না হলে সেই নাশকতার তত্ত্বও সামনে আসত না।

দিল্লিতে বিস্ফোরণের (Delhi blast) পর মঙ্গলবার থেকে তল্লাশি শুরু হয় আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই প্রকাশ্যে আসে উমরের একাধিক ডায়েরি (diary)। সেই সঙ্গে মোজাম্মেলের ১৩ নম্বর ঘর থেকেও উদ্ধার হয়েছে ডায়েরি। সেই ডায়েরিতেই ‘অপারেশন’ (operation) শব্দের উল্লেখ পেয়েছেন তাঁরা। সেই সূত্রেই প্রকাশ্যে আসে – আট জনের একটি দল তৈরি করে চারটি শহরে হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের। প্রতিটি হামলার জায়গায় দুজন করে নিযুক্ত হওয়ার কথা ছিল।

ডায়েরির সূত্রে জানা গিয়েছে, মুজাম্মিল, আদিল, উমর ও শাহিন এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পরিকল্পনা করেছিল নাশকতার। এই চারজনেই নাশকতার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। ২০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ কুইন্টাল এনপিকে সার (NPK fertilizer) কেনে তারা। তা দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই বিস্ফোরক (explosive) তৈরি করত এই জঙ্গি সংগঠনের চার নেতা।

কিন্তু দেশে বসে কীভাবে নিরাপদে সংগঠনের যোগাযোগ পরিচালনা? তার জন্য তারা তৈরি করেছিল একটি বিশেষ অ্যাপ। তা দিয়েই ফোনে কথা থেকে মেসেজ চলত। শুধু তাই নয়। চার শহরে বিস্ফোরণের জন্য চারটি গাড়িরও ব্যবস্থা করেছিল তারা। তার মধ্যে একটি প্রথম ধরা পড়ে সোমবার সকালেই। মোজাম্মেলের সেই গাড়ি বোঝাই ছিল বিস্ফোরকে। দ্বিতীয় গাড়িতেই সোমবার দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। তৃতীয় গাড়িটি হরিয়ানার খান্ডাভালি এলাকায় পাওয়া যায়। সেটি ওমরের গাড়ি ছিল। সেই সূত্রে ওমরের এক আত্মীয় ফাহিমকে গ্রেফতার করা হয় বৃহস্পতিবার। চতুর্থ গাড়িটি মহিলা জঙ্গি শাহিনের নামে রেজিস্টার্ড ছিল। বৃহস্পতিবার আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে সেটি পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: সাত মাস পরে আবার জঙ্গি হামলা, মৃত্যু! ক্ষোভে ফুঁসছে পহেলগামে মৃতের পরিবার

কিন্তু বিস্ফোরণ কবে, কোথায়? জঙ্গিদের (terrorist) ডায়েরি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নভেম্বরের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে অপারেশন (operation) চালানোর পরিকল্পনা শুরু করেছিল তারা। তবে কোন কোন শহরে হামলার পরিকল্পনা, তা এখনও ডায়েরি ডি-কোড করে জানা সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে যে অ্যাপ ব্যবহার করে তারা কাজ পরিচালনা করত, সেই অ্যাপ ডি-কোড করাও এত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়নি গোয়েন্দা দফতরের পক্ষে।

–

–

–

–


