সিনেমার ভাষায় সুরের প্রয়োজনীয়তা কতটা, নির্বাক অনুভূতিকে কতটা বাঙময় করে তুলতে পারে মিউজিক, এ প্রশ্ন চিরকালীন। ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র উৎসবের (31st Kolkata International Film Festival) শেষ দুপুরে এই সব নিয়ে অকপট সুরকার শান্তনু মৈত্র (Shantanu Moitra)। রবীন্দ্র সদনে (Rabindra Sadan) নিজের সুরেলা ক্যারিয়ার থেকে সিনেমায় গানের ভাবনার নেপথ্য কাহিনী নিয়ে জমিয়ে অরিন্দম শীলের (Arindam Sil) সঙ্গে এক ঘণ্টার আড্ডা দিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার। জানালেন, সিনেমার লেন্স যেখানে থেমে যায় সেখান থেকেই শুরু হয় সুরের চলন যা মানুষের আত্মাকে ছুঁতে পারে। অবলীলায় জায়গা করে নেয় মনের মণিকোঠায়।
৩১-তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (KIFF) প্রতিদিন একাধিক সিনেমার পাশাপাশি সেমিনার, শিক্ষামূলক আলোচনার আয়োজন করা হয়। বৃহঃস্পতিবার সমাপ্তি পর্ব। এদিন রবীন্দ্র সদনে কোনও সিনেমা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়নি। দুপুর সাড়ে বারোটায় মঞ্চে আসেন অরিন্দম শীল আর শান্তনু মৈত্র। শুরু হয় আলোচনা ‘When Music Becomes Cinema’ নিয়ে। দ্রুত বদলে যাচ্ছে সময়। চারপাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিনেমার ভাবনাতেও পরিবর্তন আসছে। মিউজিকে এর প্রভাব কতটা?
শান্তনু বলেন, Change is the only constant, তাই একে মেনে নিতেই হবে। কিন্তু ভাবনাদের ডানা মেলার ক্ষেত্রে কখনই কোনও বাধা ছিল না। এই প্রসঙ্গে নিজের বিভিন্ন ট্যুরের কথা উল্লেখ করে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে নেওয়া সেখান থেকে ভালো থাকা আর সুর সৃষ্টির রসদের কথা বলেন তিনি। আলোচনায় বারবার উঠে আসে ‘পরিণীতা’ থেকে ‘মুন্না ভাই’ প্রসঙ্গ। শান্তনু গিটার বাজিয়ে শোনান ‘আব কে সাওয়ান’।
–
–
–
–
–
–
