ইডেনে যখন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের প্রস্তুতি তুঙ্গে তখন ময়দানের ভলিবল মাঠে উত্তেজনার গনগনে আঁচ। শাসক বনাম বিরোধী তরজায় সরগরম ময়দানের ভলিবল(State Volleyball) তাঁবু।

বুধবার বর্তমান সচিব রথীন রায়চৌধুরীর(পল্টু) বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে সরব হয়েছিল তাঁর বিরোধী শিবির। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে বসেছিলেন সচিব কিন্তু পর্যাপ্ত নথি এবং তথ্য ছাড়াই। তাই এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে বার বার বিড়ম্বনায় পড়লেন।

বর্তমান ভলিবল( Volleyball) সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক। তার কোনটার জবাব কোনও ক্রমে দিতে পারলেন, কোনটা এড়িয়ে গেলেন, আবার কোনও বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকারও করে নিলেন। বোঝাই যাচ্ছিল বিরোধীদের কাউন্টার করার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছিল না তাঁর।

বিরোধী শিবিরের অভিযোগ ছিল সম্পাদকের পদটা হচ্ছে সম্মানীয় তাহলে তিনি কী করে আপনার ড্রাইভারের বেতন ও তেলের পয়সা নেন এবং মোবাইলে রিচার্জ করেন? তাও সেটা কার্যকরী সমিতিতে অনুমোদন না নিয়ে। একটি সেক্রেটারিয়েত গঠন করে কাজ চালাচ্ছেন তিনি যা আদৌ সংবিধানসম্মত নয়।

বৃহস্পতিবার পল্টু রায়চৌধুরী জবাব দিয়েছেন, “সেক্রেটারিয়েত সংবিধান অনুমতি নিয়ে গঠন করা। কিন্তু সংবিধানের কোথায় সেটা লিখা আছে তা খুঁজতে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হলো তাঁকে এমনকি কমিটি না চাইলে তিনি যে গাড়ি ছেড়ে দেবেন সেই কথাও জানিয়ে রাখলেন। তাঁর কথায়, আমি বাসে করি যাতায়াত করতাম কিন্তু রাজ্য ভলিবল সংস্থার পক্ষ থেকে আমাকে গাড়ি নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আমার নিজের গাড়ির নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না আমি আমার স্ত্রী গাড়িতেই যাতায়াত করি। আমি শুধু তেলের খরচ এবং ড্রাইভারের বেতন নিই মাত্র। সেটা কার্যকরী সমিতির এবং সেক্রেটারিয়েত এদের অনুমতিক্রমে।”

পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই ভলিবল মাঠের ফেন্সিংয়ের কাজ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য ভলিবল সচিব জানিয়েছেন, “অল্প টাকার কাজ হওয়ায় টেন্ডার টাকা হয় না। এখানে কোটেশন নেওয়া হয়। যারা সবথেকে কম কোটেশন দেয় তাদের কি কাজের বরাত দেওয়া হয়। তার পূর্ণাঙ্গ হিসেবে আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করা হয়েছে।”

ভলিবলের উন্নয়নের জেলা সংস্থা এবং রাজ্যের একাধিক ক্লাবটি অনুদান দেওয়া হয় কিন্তু তার কোন হিসেব নেওয়া হয় না কেন? এই প্রশ্নের কিছুটা বেকায়দায় পড়লেন । তাঁর কথায়, “১৫ হাজার টাকার কি হিসেব নেওয়া হবে কিন্তু প্রশ্ন জোড়ালো হতেই জানালেন এবার থেকে যে টাকা দেওয়া হবে প্রতিটি সংস্থাগুলিকে তার পূর্ণাঙ্গ হিসেব চেয়ে নেওয়া হবে।”

সঠিক সময়ে ভোট হয়না রাজ্য ভলিবল সংস্থায়। অনিয়মিত ভোটাভুটির অভিযোগ ও অস্বীকার করলেন তিনি। তাঁর যুক্তি অবশ্য ২০২১ সালে করোনার জন্য ভোট হয়নি সেই ভোট ২০২৩ সালে হয়েছে। ফলে আবার ভোট হবে ২০২৭ সালে এর মধ্যে কোন অনৈতিকতা নেই।

একই সঙ্গে বিরোধী কর্তা গোবিন্দ ভট্টাচার্যকে জবাব দিয়ে বলেছেন, বিরোধীরা শুধুমাত্র কুৎসা করার জন্যই এই ধরনের অপপ্রচার করছে তারা ভলিবলের উন্নতি চায় না। পরিশেষে জানিয়ে রাখলেন এটাই তার শেষ মেয়াদ এরপর তিনি আর পদে থাকবেন না। এমনকি ক্রীড়া আইন লাগু হলে তার আগেই তিনি পদ ছেড়ে দেবেন।



