বেলদার স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খুনে রাজগঞ্জের বিডিও-র নীলবাতি গাড়িই ব্যবহার হয়েছিল, এমন অভিযোগ উঠেছে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে। এবার তদন্তের স্বার্থে সেই নীলবাতি গাড়িটি (blue beacon vehicle) আটক করল বিধাননগর কমিশনারেটের (Bidhannagar Commissionerate) পুলিশ। সেই সঙ্গেই এই গাড়ি নিয়েও প্রকাশ্যে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ (Prashant Barman, BDO) যতই এই খুন থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে চলেছেন, ততই বেশি করে যেন তাঁর এই খুনে যোগাযোগ স্পষ্ট হয়ে পড়ছে।

নিউটাউনের যাত্রাগাছি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) দীর্ঘদিন ধরেই খতিয়ে দেখেছে বিধাননগর পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। সেই সূত্রেই জানা যায়, ঘটনার রাতে নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী (gold trader) স্বপন কামিল্যার দেহ পাচারে ব্যবহার হয়েছিল বিডিও প্রশান্ত বর্মণের গাড়িই (blue beacon vehicle)। তবে সেক্ষেত্রে খুলে রাখা হয়েছিল নীল বাতিটি। যার ফলে সাধারণ নাগরিক বা স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে সেভাবে পড়েনি গাড়িটি।

আরও পড়ুন: কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

এই ঘটনায় সোনা পাচার চক্রের হদিশ পেয়েছে বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগ। যে চক্রের সঙ্গে মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর যোগের অভিযোগ উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। তবে তাঁর খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে বড়সড় চক্রের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা, এমনটাই সূত্রের খবর। সেই চক্রের সঙ্গে কোচবিহারের সজল সরকারের যোগের ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ। তার পরিবারকেও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে পুলিশ। তবে তাতে কোনওভাবেই সরকারি উচ্চপদে বসে খুনের মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারছেন না বিডিও প্রশান্ত বর্মণ।

–

–

–

–

–

–


