Sunday, December 7, 2025

ক্রমশ কাজের চাপ বাড়াচ্ছে কমিশন: জেলায় জেলায় বিক্ষোভে BLO-রা

Date:

Share post:

নির্বাচনী এসআইআর প্রক্রিয়ায় সাধারণ নাগরিকদের যাতে লাইনে দাঁড়াতে না হয়, তার জন্য কমিশনের তরফে প্রতিনিধি বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO)। তাঁরাই কমিশনের যাবতীয় লজ্জা নিবারণের দায়িত্বে। অথচ প্রতিদিন নতুন নতুন ফিরিস্তি দিয়ে বিএলও-দের (BLO) ঠিক কেমন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission), তা শুধুই টের পাচ্ছেন বিএলও-রা। দফায় দফায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (training centre) ক্ষোভ প্রকাশ, আত্মহত্যার হুঁশিয়ারির পরে এবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভে বিএলও-রা। সর্বত্র দাবি একটিই- অল্প সময়েই মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ কাজ তাঁদের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের একটি বিএলও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রীতিমত কান্নাকাটির রোল পড়ে যায়। অনেকেই জানান অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা। কেউ দাবি করেন, কাজের চাপে তাঁদের আত্মহত্যা করার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। শুক্রবার হাওড়ার পরে এবার বিক্ষোভ শিলিগুড়িতে (Siliguri)। শনিবার বিএলও-দের প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএলও-রা। শনিবারও বিক্ষোভ দেখান হাওড়ার (Howrah) বিএলও-রা। এছাড়াও বিক্ষোভ দেখান ব্যারাকপুরের (Barrackpur) বিএলওরাও। যে সময়ের মধ্যে যে কাজের বোঝা তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা কোনওভাবেই তাঁরা বহন করতে পারবেন না, দাবি বিএলও-দের।

শুক্রবার হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় বিএলও-রা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। শনিবারও একই দাবি বিএলও-দের। তাঁরা জানান, তাঁদের বাড়ি বাড়ি ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ফর্ম ফিলাপ করার পর সংগ্রহের কাজ এখনও বাকি। অনেক ক্ষেত্রেই ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য আরও সময় যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিএলও হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপে সেই ফর্ম কীভাবে ডিজিটাল ফর্ম্য়াটে (digital format) তুলতে হবে তার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও দেখে তাঁদের ফর্মের তথ্য বিএলও অ্যাপে (BLO App) তুলতে হবে। বিএলও-দের (BLO) দাবি, এক একটি ফর্ম (enumeration form) তুলতে আধ ঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিট সময় লাগছে। তার ফলে তাঁদের হাতে যে পরিমাণ ফর্ম রয়েছে, তার কাজ শেষ করতে একটি দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। যা দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: এসআইআর আতঙ্ক: ফর্ম ফিলাপের আতঙ্কে ব্রেন স্ট্রোক আক্রান্ত প্রৌঢ়

সাধারণ নাগরিকদের ফর্মের তথ্য ডিজিটাল করার কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ডিজিটাল তথ্যই একজন ভোটারের নির্ভুল তথ্য হিসাবে সারাজীবন বহন করতে হবে। অথচ বিএলও-দের একাংশের এমনটাও দাবি, কমিশনের তরফে প্রাথমিকভাবে ফর্ম বিলি ও ফর্ম সংগ্রহ করে জমা দেওয়া কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন কাজ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিএলও-দের ঘাড়ে। এবার ফর্মের তথ্য নির্ভুলভাবে ডিজিটাল ফর্ম্যাটে তোলার দায়ও চাপলো বিএলও-দের কাঁধেই। প্রতিবাদে সরব শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে প্রশিক্ষণের জন্য আসা বিএলও-রা।

spot_img

Related articles

কলকাতা ম্যারাথনের মুখ কেনি বেডনারেক, রাজপথে দৌড়াবেন জীবন যুদ্ধে জয়ীরাও

বিগত ৯ বছর ধরেই শীতের কলকাতার মেগা ইভেন্টের নাম টাটা স্টিল ম্যারাথন(kolkata marathon)। আগামী ২১ ডিসেম্বর কলকাতার রাজপথে...

ডায়মন্ডহারবার মডেল অনুসরণ করেই এগোতে চায় হাওড়া-হুগলি ওয়ারিয়ার্স

মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা, তারপরই শুরু বেঙ্গল সুপার লিগ। তার আগে শনিবার  হাওড়া-হুগলি ওয়ারিয়ার্স দলের(Howrah Hooghly Warriors )জার্সি...

সুন্দরবনের ধাঁচে বিশেষ জাল এবার ডুয়ার্সে! চিতাবাঘ-আতঙ্কে নতুন উদ্যোগ বন দফতরের

চিতাবাঘ-মানুষ সংঘাত রুখতে অভিনব পদক্ষেপ নিল বন দফতর। সুন্দরবনের মতোই এবার ডুয়ার্সের চা-বাগান ঘেঁষা গ্রামগুলিকে বিশেষ জাল দিয়ে...

ড্রোন শোয়ে নয়া আকর্ষণ গঙ্গাসাগর মেলায়! প্রস্তুতি পরিদর্শনে দুই মন্ত্রী

৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। এবারের মেলা শুধু আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্রবিন্দু নয়, প্রযুক্তি ও ঐতিহ্যের এক...