‘ভুলবশত’ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলসীমা (Bangladesh water border) অতিক্রম করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছিল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী। ৩২ বছরের বাবলু দাসকে (fisherman Bablu Das) আটক করে পদ্মাপাড়ের পুলিশ। সেখানেই জেলবন্দি ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে খবর আসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে (Bangladesh High commission) গোটা বিষয়টি জানিয়েছে মৎস্যজীবীর পরিবার। ইতিমধ্যেই দেহ আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে খবর। পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাবলুর পরিবার।
কাকদ্বীপ থেকেই গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বেরিয়ে জুলাই মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে আটক হয় ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী-৩৮’ ও ‘এফবি ঝড়’ নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের দু’টি ট্রলার ও ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। পরে তাঁদের মংলা পোর্ট থানার (Mongla Port Police) পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই থেকেই জেল হেফাজতে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। এরপর শনিবার রাতে বাবুল দাস ওরফে বোবার মৃত্যুর খবর আসে কাকদ্বীপে তাঁর পরিবারের কাছে। প্রথমে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ উপরে হাইকমিশন এই খবর নিশ্চিত করে। পরিবারের লোকেদের দাবি মৎস্যজীবী যথেষ্ট সুস্থ ছিলেন, তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগও তুলেছেন তারা।মৃতদেহ কাকদ্বীপে এনে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তও করাতে চান বলে জানিয়েছেন বাবলুর ভাই বাসুদেব দাস।মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারকে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানানো হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
