নাগরিকত্বের নথি আছে বা নেই পরিবারের। বাবা-মা বা দাদু-ঠাকুমার নাম ভোটার তালিকায় ছিল বা নেই, কোন কিছুরই বোধ হয় গুরুত্ব নেই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে। ঘটা করে এআই পরিচালিত যে অ্যাপ-এর (AI app) প্রচার নির্বাচন কমিশন চালাচ্ছে তাতে ভোটারের ছবি (photo) এবং বাবা-মায়ের নামটুকু দিলেই ভোটার তালিকায় নাম উঠে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ভোটারের (voter)। তবে ঘটা করে ফর্ম ফিলাপ এবং তাতে হাজারো তথ্য দেওয়ার কি অর্থ, উঠেছে প্রশ্ন।

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে তারা নতুন এআই প্রযুক্তির অ্যাপ এনেছেন। যার সাহায্যে ভুয়ো ভোটার (fake voter) ধরা সম্ভব হবে। ভোটারের ছবি দিলেই সেই ভোটার আগে অন্য কোথাও নথিভুক্ত রয়েছেন কিনা তা জানা যাবে। এই প্রযুক্তি সেই ডুপ্লিকেট ভোটারদের চিহ্নিত করতে পারবে। কিন্তু নাগরিকত্বের (citizenship) প্রশ্নের কোনও উত্তর কিভাবে পাওয়া যাবে, সেই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই কমিশনের অ্যাপে (BLO app)।

বিএলও-দের ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে ফর্ম সংগ্রহ (form collection) এবং তা অ্যাপে তোলার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২৬ নভেম্বরের মধ্যে যে কোনওভাবে তাদেরকে এই কাজ পূরণ করতে হবে। যাতে নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটার তালিকা (draft voter list) ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি করতে পারে। বিএলও-রা বারবার জানিয়েছেন এত দ্রুত কাজ করা অসম্ভব। তা সত্ত্বেও কমিশনের শর্তেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে কমিশনের যাবতীয় জালিয়াতি।

আরও পড়ুন : রাজ্যে উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার: BLO-দের শিখণ্ডি করেই নির্ভুল SIR-বার্তা

বিএলও-দের যে অ্যাপ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে তাতে ভোটারের ছবি আপলোড করা যাচ্ছে। বাকি তথ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র বাবা ও মায়ের নামটুকু দেওয়াই বাধ্যতামূলক। আর কোন তথ্য সেই অ্যাপে বাধ্যতামূলক নয়। ফলে দ্রুত কাজ সারতে সেই কাজটুকু সেরে তারা ভোটারের তথ্য ডিজিটাইজেশন করার কাজ সারছেন। আদতে যে নাগরিকত্বের প্রমাণ জোগাড় করতে আতঙ্কে একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে বাংলার নাগরিকদের, সেই নাগরিকত্বের যাচাইয়ের বিষয়টি ফাঁকিতে রেখেই কাজ করছে নির্বাচন কমিশনের এআই পরিচালিত অ্যাপ।

–

–

–

–

–

