রক্ষকই ভক্ষক। সেই উত্তরপ্রদেশ। ধর্ষণ। গণধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে আবার পুলিশেরই গণধর্ষণের (UP Gang Rape) শিকার নির্যাতিতা। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতাকে রীতিমতো ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপিকে ধুয়ে দিয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, কয়েকমাস আগে ৪ যুবক তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আলিগড়ে। সেখানে ৪৮ দিন ধরে আটকে রাখা হয় তাঁকে। মাদক খাইয়ে বারবার গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। সুযোগ বুঝে ধর্ষকদের ডেরা থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান মহিলা। সমস্ত বিষয়টি জানান পুলিশকে। কিন্তু সেখানেও লোলুপ পুলিশের কুনজর। এক সাব-ইন্সপেক্টর নিজের বাড়িতে ডাকে নির্যাতিতাকে। সরল বিশ্বাসে তিনি সেখানে গেলে তাঁকে দু’দিন ধরে ধর্ষণের পালা। আর এক পুলিশকর্মী আবার নগদ ৫০ হাজার টাকা জোর করে আদায়ও করে অসহায় ওই মহিলার কাছ থেকে। বিচার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতার স্বামী থানায় গেলে তাঁকেও আটকে রেখে মারধর করা হয়। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, অভিযুক্ত ২ পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হলেও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি তাদের। গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র একজন অভিযুক্তকে। নির্যাতিতার অভিযোগ, অভিযুক্তদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠতা থাকায় তাদের আড়াল করছে পুলিশ।

এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে,” উত্তরপ্রদেশে যোগী শাসনে নারী সুরক্ষা আজ প্রহসন!
ধর্ষণের বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পর সেই পুলিশের হাতেই গণধর্ষণের শিকার হতে হয় বুলন্দশহরের যুবতীকে। আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপরও নেমে আসে পুলিশি নির্যাতন। সবই বিজেপির আচ্ছে দিনের ফসল।বিজেপির প্রশ্রয়েই আজ দুর্বৃত্ত থেকে পুলিশও ধর্ষক। এর পরেও এরা নারী সুরক্ষার বুলি আওড়ায়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এখনও মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে থাকেন কী করে? এদের কি বিন্দুমাত্র চক্ষুলজ্জাটুকুও নেই?আমাদের দাবি স্পষ্ট- হয় নারীদের নিরাপত্তা দাও, নয় পদত্যাগ করো!”

–

–

–

–

–

–

–
–
–

