বুধবার স্যোশাল মিডিয়ার পোস্টর পরে বৃহস্পতিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে (Gyanesh Kumar) চিঠি লিখে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া স্থগিত করার আর্জি জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পনাহীন ভাবে SIR চালানো হচ্ছে। এটা বিপজ্জনক বলে মত মমতার।

SIR-এ অত্যাধিক কাজের চাপে জলপাইগুড়ির মালবাজারে আত্মহত্যার অভিযোগ বিএলও শান্তিমণি এক্কার (Shantimoni Ekka)। বুধবার, এই মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) বিএলওদের (BLO) কাজের চাপ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অপরিকল্পিত SIR অভিযান বন্ধের আহ্বানও জানান তিনি। আর তার পরের দিনই সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখলেন মমতা। চিঠিতে বিএলও-দের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিতের কথা বলেন। তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পনাহীন ভাবে এই প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, এটা বিপজ্জনকও বটে।

SIR প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবি জানিয়ে বিএলওদের দুর্দশা এবং অপর্যাপ্ত পরিকাঠামোর কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা (Mamata Banerjee) মনে করেন, ”বিএলও-দের উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা তাঁদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক।” এই পরিস্থিতিতে সাহায্য কিংবা সময়সীমা না বাড়িয়ে কলকাতার সিইও দফতর ‘ভয়’ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। বিএলওদের শোকজ করা হচ্ছে। এমনকী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কমিশন গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি বুঝতে অস্বীকার করছে।


মমতার কথায়, ”বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ধানচাষের সময়। কৃষিক্ষেত্রের এই ব্যস্ততম সময়ে এসআইআর প্রক্রিয়া চালানো অযৌক্তিক। সাধারণ মানুষের উপরও চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছ।” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই প্রক্রিয়া শুধু বিএলও-দের উপর নয়, সাধারণ মানুষেরও উপরেও মানসিক ভাবে চাপে ফেলছে। সেই কারণেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

চিঠির শেষে অবিলম্বে এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধের আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুরোধ করেন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদানের বিষয় বিবেচনা করা হোক। তাঁর কথায়, ”এই প্রক্রিয়া যদি অবিলম্বে সংশোধন করা না হয়, তাহলে সেটা সকলেরই ক্ষতি।” একই সঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়ার সময়সীমা পুনর্বিবেচনারও আবেদন জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

–

–

–

–

–


