ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়ার সাফল্য মূলত বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) দক্ষতা ও নিষ্ঠার উপরেই নির্ভর করছে—এমনটাই মত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালের। শুক্রবার নিউ টাউনে আয়োজিত এক বিশেষ কর্মশালায় তিনি জানান, “বিএলও–রা রাতদিন পরিশ্রম করছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও ৯৯ শতাংশ বিএলও সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার সঙ্গে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে।”
এদিন ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের ফার্স্ট লেভেল চেকিং (এফএলসি) উপলক্ষে রাজ্য নির্বাচন দফতরের উদ্যোগে দিনভর কর্মশালার উদ্বোধন করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল এবং পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। রাজ্যের ২৪টি জেলার জেলা নির্বাচন আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন), জেলা ইভিএম নোডাল অফিসার ও এফএলসি সুপারভাইজাররা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে রাজ্যের ১০টি জেলায় শুরু হবে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের এফএলসি, চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। মোট ৫২টি কেন্দ্রে হবে এই চেকিং। যদিও কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল ইভিএম–ভিভিপ্যাটের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, বৈঠকের কেন্দ্রে উঠে আসে এসআইআর ও বিএলও প্রসঙ্গও। বৈঠকের শুরুতেই জ্ঞানেশ ভারতী জানতে চান রাজ্যের বিএলও কার্যক্রমের সাম্প্রতিক আপডেট। বিভিন্ন জেলার তথ্য আপলোডের অগ্রগতি, এনিউমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার গতি, ডিজিটাইজেশনে বিলম্ব—প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়। এদিন কমিশন জানায়, নতুন পি–৩ সিরিজ়ের ইভিএম এখন থেকে প্রার্থী–প্রতীক ছাড়াও প্রার্থীর ছবি প্রদর্শন করবে। ফলে ভোটদাতারা আরও স্বচ্ছ ও উপযোগী অভিজ্ঞতা পাবেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে নতুন ইভিএম মেশিন পৌঁছেছে। সেগুলির কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতেই এই কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- এসআইআর–এর কাজে দুই বিএলও–র মৃত্যু! পরিবারকে আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত রাজ্যের
_
_
_
_
_
_
_
