“ঈশ্বর করুন, যেন কেউ চক্রব্যূহে না পড়ে। চক্রব্যূহে কেউ ফাঁসলে বেরোনো খুব কঠিন“- উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তাফা দেওয়ার দীর্ঘদিন পরে নীরবতা ভেঙে মন্তব্য করলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdip Dhankar)। শুক্রবার ভোপালে RSS-এর সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মনমোহন বৈদ্য লেখা ‘হম অউর ইহ বিশ্ব’ বইটির (Book) প্রকাশ অনুষ্ঠানে ‘চক্রব্যূহ’ শব্দ বন্ধ ব্যবহার করেন। আর তা নিয়ে ফের রাজনৈতিক মহলে চর্চা। এই শব্দ দিয়ে কী ইঙ্গিত করতে চাইলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি!
গত জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথমদিনে আচমকা স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন জগদীপ ধনকড়। যদিও ইস্তফাপত্রে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Doupodi Murmu) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)-সহ মন্ত্রিপরিষদের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু সেই সময় তাঁর ইস্তফা ঘিরে প্রবল চর্চা হয় রাজনৈতিক মহলে।
উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তাফা দেওয়ার পর দীর্ঘ চার মাস নীরব ছিলেন ধনকড় (Jagdip Dhankar)। শুক্রবার, বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির হন তিনি। বলেন, তথ্য যুদ্ধ এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), ব্লকচেইন, মেশিন লার্নিং-এর মতো প্রযুক্তির উন্নতির কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, বর্তমান সমাজে সভ্যতাগত প্রতিযোগিতা চলছে। এরপরই ধনকড় বলেন, “ঈশ্বর করুন, যেন কেউ চক্রব্যূহে না পড়ে। চক্রব্যূহে কেউ ফাঁসলে বেরোনো খুব কঠিন।“ এর পরে হাসিমুখে তিনি যোগ করেন, “আমি নিজের উদাহরণ দিচ্ছি না।“ এই টিপ্পনি ঘিরেই প্রশ্ন, তাহলে কি ‘চক্রব্যূহ‘ পড়েই তিনি পদত্যাগ করে ছিলেন?
আরও খবর: আফটার শক বাংলাদেশে: শনিবার ফের কেঁপে উঠল বাইপাইল
গত মাসে ধনকড়ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “২১ জুলাই রাতে হঠাৎ চমকপ্রদভাবে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনকড়। যদিও তিনি দিনরাত প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করতেন, তবুও তাঁকে যে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল, তা স্পষ্ট।” জয়রামের এই মন্তব্য জল্পনা উস্কে দেয়। ধনকড়ের ইস্তফার পরে বাংলার শাসকদল তৃণমূলও বলেছিল, যে অসুস্থতার অজুহাতে ধনকড় পদত্যাগ করলেন, তাঁর লেশমাত্র তাঁর গতিবিধিতে পড়েনি। ইঙ্গিত ছিল- বাধ্য হয়েই ইস্তফা দিয়েছেন ধনকড়। ওইদিন চক্রব্যূহ-এর উল্লেখ করে ফের জল্পনা উস্কে দিলেন খোদ ধনকড়।
–
–
–
–
–
–
