কলকাতা শহরের বুকে হোটেলে যুবক খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য। খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। সম্প্রতি পার্কস্ট্রিটের হোটেলে যুবক খুনের ঘটনায় ভিন রাজ্য থেকে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে এনেছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। গ্রেফতার খুনের রাতে মৃত আদর্শের সঙ্গে হোটেলে আসা দুই যুবক যুবতী। তবে খুনের মূল কারণ খুঁজে বের করতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও বেশ কিছু বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
কলকাতার নামী আইটি ফার্মে কর্মরত বীরভূমের দুবরাজপুরের (Dubrajpur) বাসিন্দা আদর্শ লোসালকার দেহ উদ্ধার হয় কসবার (Kasba) একটি হোটেলে। তবে আদর্শের মোবাইল ও মানিপার্স খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধ্রুব মিত্র ও কোমল সাহা নামে দুজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তাদের জেরায় খুনের কথা স্বীকার না করলেও আদর্শের সঙ্গে মারামারির কথা তারা স্বীকার করে। তবে তাদের বয়ান খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে বলে জানাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
মৃত আদর্শের বাবা দাবি করেন, তাঁর ছেলে নিউ আলিপুর যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তারপরে তিনি কেন কসবার হোটেলে যান, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেখানেই বয়ান ও মূল ঘটনায় অসঙ্গতির দাবি পুলিশের। এমনকি আদর্শের বাবার আরও দাবি, তাঁর ছেলের কোনও মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, এমনটাও তাঁর জানা নেই। এই দুই ধন্দে আদর্শের বাবা দাবি করেছেন, এটা পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা তাঁর ছেলেকে খুন করার জন্য।
আরও পড়ুন : দিনে দুপুরে কসবার গেস্ট হাউস থেকে দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
গ্রেফতার হওয়া ধ্রুব মিত্র ডেলিভারি বয়ের (delivery boy) কাজ করেন। তিনি নদিয়ার (Nadia) বাসিন্দা। অন্যদিকে কোমল সাহা কলকাতার কালীঘাটের (Kalighat) বাসিন্দা। তিনি আদর্শের বন্ধু ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। ডেটিং অ্যাপে তাঁদের আলাপ হয়েছিল বলে উঠে এসেছে তদন্তে। ঘটনার রাতে ধ্রুবর সঙ্গে আদর্শের কোনও একটি বিষয়ে তর্ক শুরু হওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই থেকে মারামারি হয়। আদর্শকে থামানো যাচ্ছিল না বলে তার পা বাঁধা হয়। পরে আদর্শের নাক থেকে রক্ত বেরোতে থাকায় তাঁরা পালিয়ে যান, দাবি ধৃত দুজনের। দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তদন্তের সমাধানের আশায় কলকাতা পুলিশ।
–
–
–
–
–
