Sunday, November 23, 2025

SIR বন্ধের দাবি, সোমে মিছিল BLO-দের: একশো শতাংশ অধিকার আছে, দাবি তৃণমূলের

Date:

নির্বাচনের টার্গেট পূরণ করতে বোঁড়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ভুল হলে বিজেপির চাপে চাকরি যাওয়া বা গ্রেফতারির হুমকি। এই পরিস্থিতিতে কেরলে আগেই বিক্ষোভ মিছিলের পথে গিয়েছেন সেখানকার বিএলও-দের সংগঠন। এবার মিছিলে রাজ্যের বিএলও-দের (BLO) সংগঠন। বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির ব্যানারে সোমবার মিছিল (protest march) করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) দফতরের বাইরে ধর্না দেওয়া কথা জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএলও-দের এভাবে পথে নামাকে সমর্থন বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের।

বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির ব্যানারে রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, প্যারা টিচারদের যাঁরা বিএলও হিসাবে কর্মরত তাঁরা পথে নামবেন সোমবার। কলেজ স্ট্রিট থেকে নির্বাচন কমিশন দফতর (Election Commission office) পর্যন্ত মিছিল করবেন। তারপর সেখানে ধর্নায় বসবেন। তাঁদের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় এসআইআর (SIR) অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যদিও এর মধ্যে আবার আরেক শ্রেণির বিএলও এই আন্দোলনের সঙ্গে নেই বলেও জানায়। সেক্ষেত্রে ভাগ তৈরি করে আন্দোলনের ঐক্য ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্য, বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।

বিএলও-দের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, যাঁরা বিএলও সমস্যাটা তাদের হচ্ছে। তাঁরা শিক্ষা জগতে রয়েছে বা অন্য কাজে। ঘুরে ফিরে সরকারি কর্মী। তাঁরা যে সমস্যায় পড়ছেন তাঁদের যন্ত্রণা তাঁরাই বুঝছেন। তাঁরা কেউ বলছেন না এসআইআর করব না। তাঁরা বলছেন এই সময়সীমার মধ্যে জোর করে অপ্রস্তুত জমিতে আমাদের কাজ করতে বলা হচ্ছে সেটা টেকনিকালি সম্ভব নয়। মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তার সঙ্গে বিজেপির হুমকি (threat)। আত্মহত্যা করছেন। তাঁরা এই বিষয়টা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন। বলা তো দরকারই। একশো শতাংশ তাঁদের অধিকার আছে।

আরও পড়ুন : কমিশনের SIR প্রক্রিয়া বেআইনি: BLO-দের সমস্যা তুলে তোপ কল্যাণের

বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কমিশনের মারফৎ চাপিয়ে দেওয়া এসআইআর বন্ধ করার বিএলও-দের দাবিকেই সমর্থন জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তার কারণ হিসাবে কুণাল জানান, বিএলওদের উপর যে ভয়ঙ্কর চাপ অপরিকল্পিতভাবে, বিজেপির কথায়, অল্প সময়ের মধ্যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে একটা বড় অংশের বিএলও একটা কর্মসূচি করতেই পারেন। এই পদ্ধতিতে এসআইআর চলার বিরোধিতা করা হচ্ছে। ২০০১ সালে দু আড়াই বছর ধরে এসআইআর (SIR) করা হয়েছিল। যে কাজটা দু আড়াই বছর লাগে, সেটা দুআড়াই মাস দিয়ে যদি বলা হয় এখুনি করো। কখনও ফর্ম (enumeration form) পাওয়া যাচ্ছে না। সার্ভার (server) কাজ করছে না। কখনও অ্যাপ (App) অকেজো হয়ে যাচ্ছে। কখনও ডিজিটালি অত সক্ষম নয়। তার মধ্যে বিজেপি বলছে গ্রেফতার করা হবে বিহারের মতো, চাকরির বারোটা বাজানো হবে। তাতে কেউ যদি এসআইআর বন্ধ করার দাবি জানায় তিনি তো নিজের জীবনের চাপ ও যন্ত্রণা থেকে বলছেন কথাটা।

Related articles

এ্যনুমারেশন ফর্ম ঘিরে নতুন বিতর্কে ‘বাংলাদেশী’ লাভলি খাতুন

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বলে অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধান লাভলি খাতুনকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এসআইআর চালু হওয়ার...

চাপে পড়তেই পিচ নিয়ে বেসুরো ভারত, পন্থের অধিনায়কত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

ইডেন টেস্টে শুরু থেকেই চর্চায় ছিল পিচ। কিন্তু গুয়াহাটিতে(Guwhati) গিয়ে উইকেট বেশ পছন্দ হয়েছিল গৌতম গম্ভীর এবং তাঁর...

কোথায় শুভেন্দুর ‘জয়শ্রীরাম’ স্লোগান: মুর্শিদাবাদে স্লোগান বদলের মুখোশ খুলল তৃণমূল

রাতারাতি স্লোগানই বদলে ফেললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী! জেলা বদল, স্লোগান বদল। রাজনৈতিক স্লোগান (slogan) এভাবে বদলে ফেলতে...

বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানে জোর! অত্যাধুনিক শিল্পতালুক গড়ে উঠছে ধর্মায়

আরও একটি অত্যাধুনিক শিল্পপার্ক গড়ে উঠছে রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে প্রায় ৭ একর জমির উপর...
Exit mobile version