বিহারে (Bihar) মাতৃদুগ্ধে ইউরেনিয়ামের (Uranium found in Breast milk) তথ্য চাঞ্চল্যকর। উদ্বেগজনক। মায়ের বুকের দুধ-নির্ভর শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর এর ব্যাপক কুপ্রভাব পড়ার ঝুঁকি বেড়েছে। নয়াদিল্লি এইমস, পাটনার মহাবীর ক্যান্সার সেন্টার এবং কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। বিহারের ছয় জেলায় মাটির নীচের জলে মিশে থাকা এই পদার্থ প্রবেশ করেছে মানুষের দেহে। এবার তারই খোঁজ মিলেছে মায়ের বুকের দুধে। ইউরেনিয়ামই শিশুর জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। ঝুঁকি থেকে যায় ক্যান্সারের মতো রোগেরও। কিডনির সমস্যাও হতে পারে। স্নায়ুরোগ সমস্যা-সহ বুদ্ধিবৃদ্ধিতে ব্যঘাত ঘটাতে পারে।
বিহারের ছয় জেলা- সমস্তিপুর, বেগুসরাই, খাগাড়িয়া, ভোজপুর, কাটিহার এবং নালন্দা। আর্সেনিক, সিসা এবং পারদের মতো ধাতু বিহারের এই অঞ্চলে পাওয়া যায়। এখন নতুন করে ইউরেনিয়ামের উপস্থিতি মিলছে। এই ছয় জেলায় ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত সমীক্ষা হয়েছে। ১৭-৩৫ বছর বয়সি ৪০ জন সন্তানের মাকে পরীক্ষা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে তাঁদের মাতৃদুগ্ধ।
খাগাড়িয়ায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মাতৃদুগ্ধে ইউরেনিয়ামের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। নালন্দায় সবচেয়ে কম। সার্বিকভাবে ছয় জেলায় প্রতি লিটার মায়ের বুকের দুধে ০-৫.২৫ মাইক্রোগ্রাম ইউরেনিয়াম মিলেছে। মায়েদের ক্ষেত্রে এটি বড় সমস্যা নয়। তবে নবজাতকদের পক্ষে বিষয়টি বিপজ্জনক বলেই জানিয়েছেন নয়াদিল্লি এইমসের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের এপিজেনেটিক্সের অধ্যাপক ডাঃ অশোক শর্মা।
মাতৃদুগ্ধে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকে। তবে যে মাত্রায় ইউরেনিয়াম পাওয়া গিয়েছে তা উদ্বেগজনক হলেও এখনই স্তন্যদান বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, বিহারের মাটিতে ইউরেনিয়াম মিশে কতটা দূষণ বাড়াচ্ছে, তা সরকারকে দেখতে হবে। পরীক্ষা করতে হবে ভূগর্ভস্থ জল। গর্ভবতী এবং স্তন্যদায়ী মহিলাদের স্বাস্থ্যের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
–
–
–
–
–
–
–