আমি চলে যাব। তার পরেও আমার সহকর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ‘রক এন্ড রোল’ করবে। এই দৃশ্যটাই আমাকে ভাবালো। আর এই এক ভাবনা থেকেই দুবাইয়ের (Dubai) ব্যয়বহুল শো থেকে নাম প্রত্যাহার করলেন মার্কিন পাইলটদের (US pilots) দল। হল না তাঁদের শেষ প্রদর্শনী।
দুবাই এয়ার শো-তে (Dubai air show) ভারতীয় তেজস (Tejas) বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা ভাইরাল গোটা বিশ্বে। আতঙ্কের সঙ্গে সেই সব ভিডিও দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকা শেয়ার করেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই ঘটনার পরও একই ভাইবে শেষ হয়েছে দুবাই এয়ার শো। ঠিক যেন মধ্যযুগের অ্যাম্পিথিয়েটার (Amphitheatre)। যেখানে হিংস্র পশুর আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর পরও চলতে থাকতো বিনোদন।
ঠিক এই ঘটনাটাই নাড়া দিয়েছিল মার্কিন বায়ুসেনার পাইলট টেইলর হেস্টারকে (Taylor Heister)। দুর্ঘটনার পর ভারতীয় উইং কমান্ডারদের ব়্যাম্পে উইং কমান্ডার নমংশ শ্যালের (Namansh Shyal) তেজসের ফাঁকা জায়গা, তাঁর ব্যবহার করা গাড়িতে তাঁর জিনিসপত্র নাড়া দিয়েছিল টেইলরকে। অথচ এয়ার শো কর্তৃপক্ষ তখনও একই উৎসাহে চালিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধ বিমানের প্রদর্শনী। মনোরঞ্জন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের।
আরও পড়ুন : ভিড়ে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে ‘ভুল’ চাল! প্রাণ দিলেন উইং কামান্ডার নমংশ
এই মনোভাবেরই নীরব প্রতিবাদ করেছেন মার্কিন বিমান চালকরা। টেলরের নেতৃত্বে তাঁদের শেষ প্রদর্শনী বাতিল করেই দেশে ফিরেছেন মার্কিন বিমান চালকরা। নমংশের (Namansh Shyal) জায়গায় একেবারে নিজেকে বসিয়েই বিচার করেছিলেন টেইলর।
দুবাই এয়ার শো কর্তৃপক্ষের এই শো চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে জঘন্য এবং স্বার্থপর বলে দাবি করেছেন টেইলর। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল তিনি নিজের ব্যথার কথা বর্ণনা করে লিখেছেন, যখনই দুর্ঘটনার কালো ধোঁয়া সরে যাবে, তখনই যে মানুষগুলোকে খুশি করতে তুমি আপ্রাণ চেষ্টা করছিলে, তারা রক অ্যান্ড রোল শুনবেন। এই বিষয়টা যেন মেনে নেওয়া যায় না। তাই নীরবে শো ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
–
–
–
–