যত সময় যাচ্ছে ততই কি ভারতীয় জনতা পার্টির ছায়া হয়ে উঠছে আম আদমি পার্টি (AAP)? পাঞ্জাবের তিন শহরকে ‘পবিত্র’ তকমা দিয়ে সেখানে মাংস নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শ্রীআনন্দপুর সাহিব, তলওয়ান্ডি সাবো এবং অমৃতসরের বিশেষ করে স্বর্ণমন্দিরের আশপাশের এলাকাকে ‘পবিত্র শহর’ হিসাবে ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করে এখানে মাংস, মদ ও তামাকজাত পণ্যের বিক্রি এবং ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann,Chief minister of Punjab)। তিনি জানিয়েছেন, শিখদের পাঁচটি তখতের মধ্যে তিনটিই পাঞ্জাবে অবস্থিত। এই স্থানগুলোর সম্মান রক্ষার্থে এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য কিছু খাবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরই রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন তাহলে কি বিজেপির দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছে কেজরিওয়ালের দল? কারণ ধর্মকে শিখন্ডী করে একাধিক অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীয় নিয়ম মানুষের উপর বলবৎ করার ইতিহাস রয়েছে গেরুয়া দলের।

সাম্প্রতিক অতীতে বারবার দেখা গেছে কখনও গুজরাটে কখনও ওড়িশায় সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কোপ বসাতে চেয়েছে বিজেপি সরকার (BJP Government)। কখনও নবরাত্রির মরশুমে বারবার বিজেপি রাজ্যগুলিতে মাছ- মাংসের উপর ফতোয়া জারি হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ কী খাবেন কী পারবেন তার ওপর একচ্ছত্র অধিকার কায়েম করতে উঠে পড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাঞ্জাবের বিধানসভার প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ছে জল্পনা। আম আদমি পার্টিও কি তবে সেই রাস্তায় ধরল?

কেন্দ্রের বিজেপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে I.N.D.I.A-এর বৈঠক থেকে কার্যক্রম সবেতেই দূরত্ব বজায় রাখছে আম আদমি পার্টি। এমনকি বিহার নির্বাচনেও তারা আলাদাভাবে লড়াই করেছে। তাহলে কি কোথাও গিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে বিজেপির রাস্তায় হাঁটতে চাইছে এই দল, এ প্রশ্ন অমূলক নয়। একটা শহরকে পবিত্র ঘোষণা করে সেখানে কিছু নিয়ম তৈরি করা বা না করা সম্পূর্ণভাবে সে রাজ্যের বিষয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর একাধিক গাইডলাইন জারি করার মতো, খাদ্যাভাসে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় না। বিজেপির এই মানসিকতার বিরোধিতার সরব আমজনতা। এবার পাঞ্জাবের ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলের নজরে থাকছে AAP-ও।

–

–

–

–

–

–

–
–


