উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় BSF-এর খোঁড়া ড্রেনে মাটি চাপা পড়ে মৃত শিশুদের পরিবার এলো রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) প্রতিশ্রুতিপূরণ করেননি বলে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে তারা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, সেই প্রতিশ্রুতি মূল পূরণ হয়নি।“

গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারির উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) চোপড়া ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম চেতনাগছে BSF-এর খোঁড়া ড্রেনে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চারশিশুর। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। চারটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়। বিচারের দাবিতে পথে নামে তৃণমূল (TMC)। স্থানীয় বিধায়ক হামিদুল রহমানের নেতৃত্বে ৯দিন ধরে দোষীদের শাস্তির দাবিতে চেতনাগছ BSF-এর ক্যাম্পের ১০ মিটার দূরেই ধর্নায় বসে থাকেন তৃণমূলে কর্মীরা। ঘটনার ৯দিনের মাথায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন। রাজ্যপাল ফান্ড থেকে মৃতদের পরিবারপিছু ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের ঘোষণা করেন। কিন্তু প্রায় দুবছর হতে চলল, কিন্তু এখনও কোনও সাহায্য আসেনি। রাজভবনে এসে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল সন্তানহারা পরিবারগুলি। এই বিষয় নিয়ে আনন্দ বোসকে নিশানা করে তৃণমূল। বলা হয়, মৃত্যু কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। তবে, শোকাহত পরিবারের পাশে থাকতে যা সাহায্য় করার রাজ্য সরকার করেছে। তার পরেও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবার পিছু ১ লক্ষ টাকা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যপাল। প্রশ্ন তোলা হয়, যদি দিতে না পারেন তা হলে বলেছিলেন কেন? লোক দেখানো ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। নাটক করছেন। সেইসময় সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই কটাক্ষ তৃণমূলের।

প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবনে আসেন সন্তানহারা পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে একটি চিঠি নিয়ে আসেন তাঁরা। সেখানে লেখা রয়েছে।

“আপনি উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনা গদ গ্রামে এক দুর্ঘটনা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে BSF-এর খোদাই করা ড্রেনে চারটি শিশু মাটি চাপা পরে মারা যায়। সেই শোকাহত চারটি পরিবারের সাথে আপনি দেখা করে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, সেই প্রতিশ্রুতি মূল পূরণ হয়নি। আমরা আপনার দৃষ্টি এই বিষয়ে আকর্ষণ করতে চাই এবং জানতে চাই এ ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।“ এখন এই অভিযোগপত্র পাওয়ার পরে রাজ্যপাল কী করেন সেটাই দেখার।

–

–

–

–

–

–

