বারাসত সরকারি হাসপাতালের পুলিশ মর্গ থেকে মৃতদেহের চোখ চুরি হয়নি—এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি ডাঃ অভিজিৎ সাহা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রীতম ঘোষের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের পরে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলের প্রাথমিক রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে—ইঁদুর বা ছুঁচো জাতীয় কোনও প্রাণী মৃতের বাম চোখের অংশ খুবলে নিয়েছে। কেননা চোখের কোটরের মধ্যে চোখের আংশিক অংশই পাওয়া গিয়েছে। তাই অপারেশন করে চোখ তুলে নেওয়া বা ‘চোখ চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ডাঃ সাহা জানান, রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হয়েছে। সরকারি পরিকাঠামোর মর্গে নিয়মিত পেস্ট কন্ট্রোল করা হয় এবং সেই কাজ এজেন্সির মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। মর্গ সক্রিয় থাকলে সাধারণত এই ধরনের প্রাণী প্রবেশ করে না। তবে রাতের দিকে দেহ ঢোকানোর সময় কোনওভাবে প্রাণী ঢুকে পড়ে থাকতে পারে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার থেকে মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে নতুন অত্যাধুনিক মর্গ চালু হয়েছে। এখানে রয়েছে ৬টি কুলিং চেম্বার, যেখানে ৬টি দেহ সংরক্ষণ করা যাবে। এর ফলে পুরনো মর্গের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে। আগের মর্গটি বহু বছর আগে নির্মিত হওয়ায় পরিকাঠামোগত সমস্যা ছিল। বারাসত হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হওয়ার পরে নতুন, আধুনিক মর্গ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই কাজ শেষ হওয়াতেই বুধবার থেকে এটি চালু হয়েছে বলে জানান এমএসভিপি।
আরও পড়ুন- বন্ধ কমিশনের অ্যাপ, তবুও চাপ BLO-দের! কাজ চলাকালীন হাসপাতালে আরও এক BLO
_
_
_
_
_
_
_