আগামী ২০২৬–২৭ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট এবার রাষ্ট্রসংঘ নির্ধারিত দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে আরও বেশি সামঞ্জস্য করে প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থ দফতরের বাজেট শাখার নির্দেশিকায় রাজ্যের সব দফতরকে বলা হয়েছে—প্রশাসনিক ব্যয় থেকে শুরু করে বড় প্রকল্পভিত্তিক ব্যয় পর্যন্ত, প্রতিটি ‘হেড অব অ্যাকাউন্ট’ কোন দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে যুক্ত তা অনলাইনে আপলোড করতে হবে।
২০১৫ সালে রাষ্ট্রসংঘ গৃহীত ১৭টি লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করেছে দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, বিশুদ্ধ জল, জ্বালানি, পরিবেশ ও জলবায়ু সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এই তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাজেটে কোন খাতে কত ব্যয় হচ্ছে এবং তা কোন উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করা যাবে। এছাড়া ব্যয়-সহ অর্জিত সাফল্যের হিসেবও স্পষ্টভাবে জানা যাবে।

অর্থ দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যে রাজ্যের ‘আই-বাজেট’ পোর্টালে একটি নতুন মডিউল চালু করা হয়েছে। দফতরগুলিকে লগ-ইন করে প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্য বেছে নিতে হবে। কোনো প্রকল্প যদি কোনও লক্ষ্যের সঙ্গে মেলে না, সেক্ষেত্রে সেটিকে ‘নট অ্যালাইন্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। একাধিক লক্ষ্য থাকলে একাধিক লক্ষ্যও নির্বাচন করা যাবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রকল্পভিত্তিক অপারেটররা তথ্য নথিভুক্ত করবেন, নোডাল অফিসাররা তা যাচাই করবেন, আর্থিক উপদেষ্টারা চূড়ান্ত পরীক্ষা করে অনলাইনে জমা দেবেন। দফতরগুলিকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তথ্যভাণ্ডার সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত পরিশিষ্টে ১৭টি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্য ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সমতার নিশ্চয়তা, দীর্ঘমেয়াদি শহর উন্নয়ন, শিল্প ও উদ্ভাবন, দায়িত্বশীল ব্যবহার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণসহ অন্যান্য ক্ষেত্র। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য, বাজেট প্রণয়ন আরও স্বচ্ছ এবং লক্ষ্যনির্ভর করা, যাতে উন্নয়নমূলক নীতির প্রভাব স্পষ্টভাবে মূল্যায়ন করা যায়।

আরও পড়ুন – গ্রুপ সি -ডি’তে থাকা ‘অযোগ্য’দের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ হাই কোর্টের

_

_

_

_

_
_

