কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া এসআইআর-এর কারণে নাজেহাল প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটার তালিকা তৈরির হুড়োহুড়িতে যেন কোনওভাবে সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু সেই চাপ মিটতে না মিটতেই হাজির হবে নির্বাচন। ফলে এবছর নির্দিষ্ট সময়ে হতে পারবে না বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (BGBS)। তার বদলে শিল্পের প্রসারে কীভাবে এবছরের পরিকল্পনা সাজিয়েছে প্রশাসন, তা স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। বিজিবিএস-এর আগে একদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্মেলন ও বিজনেস কনক্লেভের ঘোষণা করলেন তিনি।
মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৭ ডিসেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (MSME) সম্মেলন আয়োজন করা হবে। তার পরের দিন আলিপুরের ধনধান্য অডিটরিয়ামে বড় শিল্পের কনক্লেভ (business conclave) আয়োজন করবে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতিকে ত্বরান্বিত করতে রাজ্যে একের পর এক নতুন শিল্প ও বিনিয়োগ প্রকল্প এগিয়ে চলেছে। তিনি জানান, বর্তমানে ছ’টি অর্থনৈতিক করিডোর (economic corridor) তৈরির কাজ চলছে। এর ফলে আগামী দিনে অন্তত আরও এক লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশাবাদী তিনি। পাশাপাশি দেউচা–পাঁচামি প্রকল্পেও এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন মমতা।

আরও পড়ুন : চা শ্রমিকদের পাশে শ্রেষ্ঠ প্রশাসন বাংলাতেই: খতিয়ান পেশ মুখ্যমন্ত্রীর

শিল্পায়নের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন রাজ্যে মেট্রোর কোচ, লোকাল ট্রেনের কোচ, ভারী যন্ত্রপাতি, এমনকি জাহাজও তৈরি হচ্ছে। সিমেন্ট, ইস্পাত— সব ক্ষেত্রেই নতুন উদ্যোগ বেড়েছে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (MSME) ক্ষেত্রকে তিনি রাজ্যের অন্যতম শক্তি বলে উল্লেখ করেন। জানান, এই খাতে বর্তমানে ১ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কর্মরত। দক্ষতা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও রাজ্য উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে— ইতিমধ্যেই ৪২ লক্ষ যুবক-যুবতী স্কিল ট্রেনিং পেয়েছেন। উল্লেখ করেন বাংলার সেল্ফ হেল্প গ্রুপের সাফল্যও।

–

–

–

–

–

