বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই রাজ্যের উন্নয়নের মানচিত্রে নতুন জায়গা করে নিয়েছে বাংলার চা বাগান ও চা শ্রমিকরা। বন্ধ চা বাগান খোলানো থেকে চা বাগানে ক্রেস তৈরি – একদিকে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা, অন্যদিকে পুরোনো প্রকল্পকে উন্নয়নের রূপে দান। সব দিক থেকেই তৃণমূল সরকারের সময়ে নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে চা শ্রমিকদের জীবন। তবে তার মধ্যে চা শ্রমিকদের (tea garden worker) সব থেকে বেশি বেতন দিয়ে যে নজির রেখেছে বাংলার প্রশাসন, তারই খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠক থেকে চা-বাগান (tea garden) নিয়ে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২৫টি চা-বাগান খুলেছি। এর ফলে ২৩ হাজারের বেশি শ্রমিক উপকৃত হয়েছেন। এর আগে ৬০টি চা-বাগান খুলেছি। সেই সঙ্গে যোগ করেন, পাট্টা (Patta) দেওয়া হচ্ছে চা-শ্রমিকদের। চা-সুন্দরী প্রকল্পের জন্য ২৮ হাজার ৫০০ পরিবার উপকৃত হয়েছে। টি-ট্যুরিজমের (tea tourism) জন্য প্রত্যেক চা-বাগানে ১৫ পার্সেন্ট জমি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : কেন্দ্রের নীতির জন্য বেড়েছে ডিমের দাম! সরব মুখ্যমন্ত্রী

তবে শ্রেষ্ঠ সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, চা-শ্রমিকদের (tea garden worker) মজুরি (wage) বাড়িয়ে ২৫০ টাকা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যা নজিরবিহীন। উল্লেখ্য, দেশে এটাই সবচেয়ে বেশি বেতন। এছাড়াও চা-শ্রমিকদের বিনামূল্য রেশন, কম্বল, ছাতা, অ্যাপ্রন, জুতো, রেনকোট, স্বাস্থ্য, শিক্ষা— সমস্ত প্রদান করা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–

