কেন্দ্রের ঔদ্ধত্যের চরম নিদর্শনের সাক্ষী বীরভূমের সোনালি খাতুন। সুপ্রিম কোর্টের এক দিন নয়, দুদিন ধরে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করে দেওয়া সোনালি খাতুন ও তাঁর নাবালক সন্তানকে ভারতে ফেরানোর। তা সত্ত্বেও দুদিন ধরে নীরব কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মোদি সরকার। শুক্রবার ফের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তাঁদের ফেরানোর নির্দেশ কার্যকর করার আবেদন করার পর অবশেষে শুক্রবার মালদহ (Maldah) সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরলেন সোনালি (Sunali Khatun) ও তাঁর সন্তান।
নিজের দেশেই বাংলাদেশি তকমা নিয়ে জুন মাসে বাংলাদেশে চলে যেতে (push back) হয়েছিল বীরভূমের (Birbhum) সোনালি খাতুনসহ ছয়জনকে। এরপর কলকাতা হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে বারবার তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি ভারতীয়। তা সত্ত্বেও অমানবিক কেন্দ্রের মোদি সরকার অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে ফেরাতে মুখ ফিরে চায়নি। বাংলাদেশের আদালত তাঁদের জামিনের মামলায় বলা হয়, নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা (pregnant) সোনালি যে কোনও দিন সন্তান প্রসব করতে পারেন। এরপরই নির্দয় কেন্দ্রের সরকার।
তবে মানবিক দিক থেকেই সোনালি ও তাঁর সন্তানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তর বেঞ্চ। এরপর থেকেই তাঁর পরিবার বীরভূমে অপেক্ষা করে ছিল তাঁদের অসুস্থ মেয়ের জন্য। তা সত্ত্বেও বুধবার পেরিয়েছে। বৃহস্পতিবার পেরিয়েছে। সোনালিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বাংলাদেশের (Bangladesh) ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy)।
৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন ও তাঁর নাবালক সন্তানকে দেশে ফেরানোর। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বরও দেখা গেল দেশে ফেরেননি সোনালি। গোটা প্রক্রিয়ায় যেভাবে বাংলা-বিরোধী জমিদার বিজেপি সরকারের স্বরূপ প্রকাশ্যে এসেছে তা নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ সামিরুল ইসলাম দাবি করেন, এই দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন হিসাবে লেখা থাকবে যেখানে দরিদ্র বাঙালির উপর তাঁদের অত্যাচার ও নৃশংসতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশের পরেও দরিদ্র বিরোধী সরকার ব্যর্থ হয়েছে দুদিন ধরে সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নিতে। ফলত, আমাদের আইনজীবীকে শুক্রবার আবার সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হতে বাধ্য হয়। শুধুমাত্র তার পরেই তাঁদের দেশে ফেরা সম্ভব হয়ছে শুক্রবার।
আরও পড়ুন : বাংলা বলায় বাংলাদেশে পুশ ব্যাক: লোকসভায় প্রসঙ্গ তুলতেই বন্ধ করা হল শতাব্দীর মাইক!
অন্তঃসত্ত্বা সোনালির লড়াইতে সর্বোতভাবে পাশে থাকার জন্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ধন্যবাদ জানিয়েছেন সামিরুল। এই সমগ্র আইনি লড়াইতে দলের সমর্থনের পাশাপাশি আরও যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, সোনালির ফিরে আসার পরে সাংসদ সামিরুল ইসলাম সকলকে ধন্যবাদ জানান।
Finally, after a long battle against the Bangla-Birodhi Zamindars, Sunali Khatun and her minor son have returned to India. This day will be remembered as a historic moment that exposes the torture and atrocities inflicted on poor Bengalis. Sunali, who was pregnant at the time,… pic.twitter.com/ktfMkeOJIQ
— Samirul Islam (@SamirulAITC) December 5, 2025
–
–
–
