ইন্ডিগোর চরম বিশৃঙ্খলার জেরে কার্যত ধসে পড়েছে বিমান পরিষেবা (Flight Service)। এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে পাইলটদের ছুটিতে কাঁচি চালাল ডিজিসিএ। শুক্রবার বাতিল প্রায় ৬০০-র বেশি বিমান। এই নিয়ে গত ৩ দিনে ইন্ডিগোর (Indigo Airlines)প্রায় ৩ হাজার ৪০০ উড়ান বাতিল হয়েছে। সমস্যা বাড়ছে যাত্রীদের। কলকাতা বিমানবন্দরে (NSCBI Airport) বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে আজ সেভাবে কোনও ফ্লাইট ওড়েনি। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে পড়ে উড়ান সংক্রান্ত নয়া নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা (Director General of Civil Aviation)। বিমানকর্মীদের বিশ্রাম এবং ছুটি সংক্রান্ত নির্দেশিকাতে আংশিক বদল করা হচ্ছে।
সপ্তাহ জুড়ে খবরের শিরোনামে দেশের বিমান পরিষেবা। কেউ অফিসের কাজে তো কেউ চিকিৎসার জন্য ইন্ডিগো বিমানে টিকিট কেটেছিলেন। আচমকা একের পর এক ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি বহু যাত্রী। বুধবার থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শিডিউলে থাকা ৪৬৮টি বিমানের মধ্যে বাতিল হয়েছে ৯২টি বিমান,দেরিতে ওঠানামা করেছে ৩২০টি বিমান। পাইলটের অভাব থেকে বিমানকর্মী সঙ্কটের মতো একাধিক ইস্যু তৈরি হয়েছে। এই আবহে আজ মিটিং করে সিভিল অ্যাভিয়েশনের নয়া নিয়মের আংশিক প্রত্যাহার করা হল। ডিজিসিএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং একাধিক বিমানসংস্থা থেকে পাওয়া আবেদনের ভিত্তিতে আগের নির্দেশিকাটি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়েছে।’ আগে নির্দেশিকাতে বলা হয়েছিল, বিমান সংস্থাগুলি বিমানকর্মীদের ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের বিকল্প হিসাবে গণ্য করতে পারবে না। এই নির্দেশিকাই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে বিমানকর্মীদের ছুটির দিনকেই বিশ্রামের দিন হিসাবে গণ্য করা হবে। দুটো আলাদা ছুটি থাকবে না। একথা জানার পরই বিরক্ত পাইলটরা। প্রশ্ন উঠছে যারা বিমান চালাবেন তাঁরা পর্যাপ্ত ছুটি না পেলে সেক্ষেত্রে পরিষেবা দেওয়ার সময় তার প্রভাব পড়বে না তো? অর্থাৎ যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে আপোষ করার সিদ্ধান্ত কেন? এদিন উড়ান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু আজ জরুরি বৈঠক করেন। কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি বলে খবর। অর্থাৎ কতদিনে উড়ান স্বাভাবিক হবে তা এখনও স্পস্ট নয়।
–
–
–
–
–
–
–
–
