বাংলার দক্ষ প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একদিকে যেমন বাংলার শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় নিজে সচেষ্ট। তেমনই তাঁর সৈনিকেরাও শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশিই প্রশাসনিকভাবে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। উল্টোদিকে সেই শান্তি বিঘ্নিত করতে সদা সচেষ্ট বিরোধীরা। একদিকে সিপিআইএম (CPIM), অন্যদিকে বিজেপি (BJP) যেভাবে বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে সংহতি দিবসের মঞ্চ থেকে সরব তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Kalyan Bandyopadhyay)।
সংহতি দিবসে তৃণমূলের তরফ থেকে বাংলায় সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দেওয়া হয় প্রতি বছর। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে শুধুমাত্র ধর্মীয়ভাবে নয়, বাংলার সম্প্রীতি সিপিআইএম-বিজেপির চাকরি খাওয়ার রাজনীতিতেও যে বিঘ্নিত হয়েছে তা তুলে ধরেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি দাবি করেন, সিপিআইএম-এর কিছু আইনজীবী চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করেছেন। তাঁদের নিজেদের দলের কিছু মানুষের চাকরি হয়নি বলে গোটা রাজ্যের মানুষের চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করেছে সিপিআইএম (CPIM)। আমাদের চ্যালেঞ্জটা এই জায়গায়। বাংলায় কয়েকটা উকিলের জন্য কলকাতার প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়িয়ে থাকবে কিনা, সেটাই আমরা জানতে চাই। এই সিপিএমের লোকই চাকরি খেতে এসেছিল, আটকে দিয়েছি। অভিষেক হল আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আর দিদি ছিল আছে থাকবে।
আরও পড়ুন : বকেয়া নিয়ে সংসদে ভুল বোঝাচ্ছে কেন্দ্র: দিল্লিতে সরব দুই ডেপুটি লিডার
একইভাবে তিনি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন। কল্যাণ জানান, একদিন যে লোকটা ভগবান হয়ে উঠেছিল, রিকশা, অটোর পিছনে ‘তুমি ভগবান’ লিখে যার পোস্টার পড়ত, তিনিই এখন শয়তান হয়ে গিয়েছেন। বাংলায় চাকরি খাওয়ার কাজটা করল কে? কার্ল মার্ক্সের শিষ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তখন উনি একদিকে কার্ল মার্ক্স আরেকদিকে লেনিন নিয়ে থাকতেন। আপনারা ভাবছেন তাহলে বিজেপি কেন হল? আসলে অফারটা লাস্টে এলো। তখন দেখলেন সিপিআইএম তো আর উঠতে পারবে না। বিজেপির অফারটা এলো, তুমি চাকরি খাও। আমরা তোমাকে বিজেপির সাংসদ করব। ব্যাস ৩২ হাজার চাকরি খেয়ে নিল।
–
–
–
–
–
–
