রবিবার গোয়াতে সুপার কাপের (Super Cup) ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও এফসি গোয়া। সুপার কাপ (Super Cup) ফাইনাল, কিন্তু এআইএফএফের আয়োজন দেখলে বোঝার উপায় নেই দেশের অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট হচ্ছে। নমো নমো করে সুপার কাপটা শেষ করলেই যেন বাঁচেন কল্যাণ চৌবে। না আছে প্রচার না ভালো কোনও উদ্যোগ।
ম্যাচের আগের দিনও কাপ ছিল না গোয়াতে। ফলে অধিনায়কদের ফটোশ্যুট হয়নি কাপ নিয়ে। ম্যাচের শুরুতেই কোনও ক্রমে কাপের একটা রেপ্লিকা আনতে সক্ষম হয় ফেডারেশন।

ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে,সুপার কাপের ফাইনাল ম্যাচে মাঠ ভরল না।দেশের প্রথম সারির টুর্নামেন্ট চলছে,এদিকে না কাজ করছে স্কোর বোর্ড,না আছে পোস্ট ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সের ব্যাবস্থা। ভারতীয় ফুটবল কতটা মৃতপ্রায় সেটা সুপার কাপের আয়োজন দেখলেই বোঝা যায়। এমনকি প্রাইজ মানিও বেশ কম।

যদিও কল্যাণ চৌবে বলেন, গোয়াকে জয়ের জন্য শুভেচ্ছ। আশা করি এতে গোয়ার ফুটবলে আরও জোয়ার আসবে।ঘরের মাঠে গোয়াকে সমর্থন জানাতে অনেকে এসেছিলেন। কিন্তু আইএসএল কবে শুরু হবে সেই দিশা দেখাতে পারলেন না। কল্যাণ বলে গেলেন, সবাই প্রার্থনা করুন যেন দ্রুত আবার ফুটবল শুরু হয়।

সেমিফাইনাল ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় ফাইনালে ডাগ আউটে ছিলেন না ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। দল পরিচালনার ভার ছিল সহকারী বিনো জর্জের উপরেই। গ্যালারি থেকেই দলকে তাতালেন অস্কার। ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকার। বিরতির সময় কোচের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন দেবব্রত সরকার।

ম্যাচ হারের পর ইস্টবেঙ্গল শিবিরে শুধুই শোকের আবহ। জয় গুপ্তা, কেভিনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন, ডাগ আউট জুড়ে শুধুই হতাশা। তীরে এসেও তরী ডুবল।

–

–

–

–
–


