স্বাস্থ্যই সম্পদ, শরীর ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকবে, রবিবার সকালে ম্যারাথনে দৌড়ের মাঝেই জানিয়ে দিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Fakim)। নিজেও স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি যে সচেতন সেই কথাও বুঝিয়ে দিলেন মেয়র (Mayor)। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বড় মেয়ে। রবিবার সকালে খিদিরপুরের সেন্ট থমাস স্কুল থেকে এই ম্যারাথন (marathon) শুরু হয়। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন ফিরহাদ, প্রিয়দর্শিনী হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ (Kolkata Police Commissioner) বহু বিশিষ্টজন। নতুন প্রজন্মকে শরীর ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার কথাও এদিন বলেন তিনি। এদিনের ম্যারাথনে বিভিন্ন প্রান্তর থেকে প্রায় ৩৫০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, সারা শহর থেকেই অনেকে এসেছেন। আমিও একটু দৌড়েছি আজ এখানে। সিপি নিজেও দৌড়েছেন। সকালে উঠে স্বাস্থ্য পরিচর্যা মানুষের অভ্যাসে। এটা খুব ভাল যে মানুষ এখন ফিটনেসের দিকে নিজর দিচ্ছেন। আনন্দের জন্যে দৌড়াও। বাংলায় আমরা আনন্দে থাকি। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকি। এই খিদিরপুরে (Kidderpur) আমরা সকলে মিলেমিশে থাকি। কে কোন জাতের, কে কোন ধর্মের এমন কোনও কিছু নেই। সবাই মিলে দৌড়চ্ছেন। আনন্দ করছি, হইহই করছি। এটাই তো বাংলার সংস্কৃতি। আর সকালে উঠে দৌড়লে স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে মন ঠিক থাকবে। আর মন ঠিক থাকলে একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন : শীতের ইনিংস চলবে, আগামী ৭ দিন পারদ পতনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

প্রসঙ্গত গত রবিবার সকালেও ময়দানে ম্যারাথন হয়েছে। আজকের ম্যারাথনের জন্য কিছুটা হলেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা (Manoj Verma) নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছিলেন রবিবারের ম্যারাথন চলাকালীন খিদিরপুর রোড, ক্যাসুয়ারিনা অ্যাভিনিউ, কুইন্সওয়ে, রেড রোডের উত্তরমুখী লেন, গার্ডেনরিচ ফ্লাইওভার, সিজিআর রোড এবং বর্ধমান রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এই রাস্তাগুলি মূলত ম্যারাথন রুটের আওতায় পড়ছে তাই গাড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

–

–

–

–

–

–


