গোয়ার নাইট ক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে( Goa Night Club Fire) প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন মানুষ। মৃতদের মধ্যে ২০ জনই ঐ ক্লাবের কর্মী। বাকি পাঁচজন নাইট ক্লাবে আসা অতিথি ছিলেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
আগুনে ঝলসে মৃত কর্মীদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন কর্নাটক, দিল্লির। ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, নেপালের বাসিন্দা মোট ৯ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে চারজন দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। বাকি একজন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, মৃতের নাম সুভাষ ছেত্রী, তিনি দার্জিলিংয়ে বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার জন্য নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল না নাইট ক্লাব চালানোর জন্য। ফলে বৈআইনিভাবেই নাইট ক্লাবটি চলছি বলে জানা গিয়েছে সূত্রের খবর, আরপোরার ওই নৈশক্লাব থেকে বার হওয়ার জন্য ছিল মাত্র দু’টি দরজা। আগুন লেগেছে দেখার পরেই সেখানে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শনিবার রাতে যখন আগুন লাগে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০০ জন অতিথি।

এই ঘটনায় তিনজন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরের পরিচালক সিদ্ধি তুষার হারলঙ্কর, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য-সচিব ড. শামিলা মনতেইরো এবং আরপোরা-নাগোয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব রঘুবীর বাগকর, এই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

এই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালে ‘বির্চ বাই রোমিও লেনে’ নামে ওই নাইটক্লাবটির(Goa Night Club) অনুমোদনের ক্ষেত্রে তাঁরা সঠিক নিয়ম মানেননি।পুলিশ ইতিমধ্যেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রোশন রেদকরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে, কারণ তিনিই ওই ক্লাবের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছিলেন।

মৃতদের পরিবারের জন্য দু’লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও

–

–

–

–


