সিনেমা তৈরির নামে টাকা নিয়ে চিকিৎসককে প্রতারণার দায়ে এবার গ্রেফতার হলেন পরিচালক বিক্রম ভাট। মূলত আইভিএফ (IVF) প্রক্রিয়ার প্রসার নিয়ে দেশের জনপ্রিয় আইভিএফ সংস্থার কর্ণধারের থেকে ৩০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে রাজস্থান পুলিশের (Rajsthan Police) হাতে বিক্রম (Vikram Bhatt) ও তাঁর স্ত্রী শ্বেতাম্বরী গ্রেফতার হলেন রবিবার।
রাজস্থান পুলিশ ধৃত পরিচালক ও তাঁর স্ত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে এবং তাঁদের ট্রানজিট রিমান্ডে উদয়পুরে (Udaypur) নিয়ে যাওয়া হবে। দম্পতির মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় আনসারি ও সন্দীপ বিশ্বনাথ নামে দুজনকে ১৭ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দিনেশ কাটারিয়া নামে উদয়পুরের এক বাসিন্দারও খোঁজ চালানো হচ্ছে।
অভিযোগ, গত বছর ২৫ এপ্রিল বৃন্দাবন স্টুডিও-তে এই বায়োপিক (biopic) নিয়ে বিক্রম ভাটের সঙ্গে ইন্দিরা আইভিএফ-এর (Indira IVF) কর্ণধার অজয় মুরদিয়া বৈঠক করেন। তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে একটি সিনেমা তৈরির প্রলোভন দেখানো হয়। সেই সিনেমা থেকে ২০০ কোটি টাকার লাভের প্রলোভনও দেখানো হয়। একটি ফার্মের রেজিস্ট্রেশনও করা হয় শ্বেতাম্বরী ভাটের (Shwetambari Bhatt) নামে। কিন্তু সিনেমা অর্ধেক তৈরি করে কাজ বন্ধ করে দেন বিক্রম (Vikram Bhatt), এমনটাই অভিযোগ।
নভেম্বর মাসে মুরদিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করে রাজস্থান পুলিশ। এক সপ্তাহ আগে সেই এফআইআরের ভিত্তিতে বিক্রম ও তাঁর স্ত্রীর নামে লুক আউট নোটিশ জারি হয়। অভিযোগ, এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের মেয়ে কৃষ্ণা ভাট (মুম্বই), মেহবুব আনসারি (থানে), দীনেশ কাটারিয়া (উদয়পুর), মুদিত বুটাট্টান (দিল্লি), গঙ্গেশ্বর লাল শ্রীবাস্তব (ডিএসসি চেয়ারম্যান) এবং অশোক দুবে (ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ, মুম্বাই)।
আরও পড়ুন : প্রয়াত চলচ্চিত্রের যুগান্তরের সাক্ষী কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়, শোকের ছায়া টলিউডে
যদিও উল্টো অভিযোগ করেছেন বিক্রম ভাট। তাঁর দাবি, প্রতারণার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভাট পুলিশকে জানিয়েছেন ডাঃ মুরদিয়া মাঝপথে সিনেমার কাজ বন্ধ করে দেন। বকেয়া টাকাও দেননি। সিনেমায় ব্যয় হওয়া কয়েক কোটি টাকা এখনও পরিশোধ হয়নি। সেই বকেয়া এড়াতেই এই মিথ্য অভিযোগ করা হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন তদন্তে সহযোগিতা করবেন তিনি এবং সমস্ত প্রমাণ পুলিশকে দেখানোর কথাও বলেছেন।
–
–
–
–
