নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহের রাজ্যেই শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা। বিগত পাঁচ বছরে গুজরাটে(Gujarat) লাফিয়ে বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। এই তালিকায় বেশি রয়েছেন বালিকারা। রীতিমতো উদ্বেগ জনক পরিসংখ্যান গুজরাটে শিক্ষা ব্যবস্থায়।
বিশেষ করে প্রাথমিক এবং বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে মোদি গড়ে। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে গুজরাটে (Gujarat) প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থার বেহাল দশার চিত্র। বিগত এক বছরে গুজরাটে স্কুল ছুটের সংখ্যা ৩৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৪ সালে এই রাজ্যে স্কুল ছুটের সংখ্যাটা ছিল ৫৪,৫৪১। ২০২৫ সালে এই সংখ্যা হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার। এরমধ্যে ১.১ লক্ষ রয়েছে বালিকাষ গুজরাটে মতো রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। বিশেষ করে বালিকারাই এই তালিকায় বেশি। শেষ পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে সেখানে ৬৫.৭ লক্ষ শিশু স্কুল ছুট হয়েছেন এর মধ্যে ৩০ লক্ষ্যই মেয়ে।
স্কুল ছুটের সংখ্যা যত বাড়ছে ততই শিশু শ্রমিক সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বালিকাদের গৃহ পরিচারিকা হিসাবে কাজ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সেখানে ,শেষ পাঁচ বছরে প্রায় একটা প্রজন্মই সেই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি মুছে গিয়েছে। যা রীতিমতো উদ্বেগ জনক দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯.৮ লক্ষ বালিকা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে এই রাজ্যে।
এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে সামাজিক চাপ, শিশুশ্রম, দারিদ্রতা এবং গৃহ পরিচারিকা হিসেবে কাজের অতিরিক্ত সুযোগ। কথায় কথায় গুজরাট মডেল কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সহ বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা কিন্তু বাস্তবে গুজরাটের পরিস্থিতি কতটা উত্তেজনক সেটা এই পরিসংখ্যান থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে। শিক্ষাই জাতির মূল ভিত্তি সেখানে সঠিক শিক্ষা না পেলে শিশুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে। কিন্তু গুজরাটে গোড়াতেই যে গলদ।
–
–
–
–
–
