কলকাতায় ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সে শহরের স্কুল-কলেজের ছাত্রদের সামনে মহাকাশে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ভারতের দ্বিতীয় নভোচারী শুভাংশু শুক্লা। ২০২৫ সালে তিনি টানা ১৮ দিন কাটিয়েছেন আর্ন্তজাতিক স্পেস স্টেশনে, যেখানে মাত্র ৯০ মিনিটে একবার পৃথিবীর চারিদিকে ঘূর্ণন সম্পন্ন হয়। সেই কারণে তিনি একদিনে ১৬ বার সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখেছেন। শুভাংশু বলেন, ‘‘এতবার দেখলেও মন ভরে না, মনে হয় আরও একবার দেখি।’’
শুভাংশু স্পেস স্টেশনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে করতে বলেন, ‘‘মহাকাশে গেলে জাতি, ধর্ম, দেশ সব হারিয়ে যায়। পৃথিবীর সঙ্গে এক অদ্ভুত একাত্মতার অনুভূতি হয়।’’ তিনি স্কুলছাত্রীদের সঙ্গে নিজের মজার মুহূর্তও ভাগ করেছেন। ‘‘ফুরসতে স্পেস স্টেশনে বল বানিয়ে কেচ কেচ খেলতাম,’’ বলার সঙ্গে সঙ্গে ছোটদের জন্য ভিডিও দেখিয়েছিলেন তিনি।

নভোচারী হিসেবে মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে কাটানো অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন শুভাংশু। ‘‘পৃথিবীতে যার ওজন ৬০ কেজি, সেখানে তার ওজন মাত্র ০.০৬ গ্রাম। চা-কাপ মাটিতে পড়ে না, ভেসে থাকে শূন্যে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মহাকাশ থেকে ফিরে অভ্যস্ত হতে কয়েক মাস সময় লাগে। অনেক সময় ভুলবশত শূন্যে মোবাইল বা জিনিসপত্র ছেড়ে দিয়েছি।’’

শুভাংশু এদিন শিক্ষাব্যবস্থার ওপরও আলোকপাত করেন। ‘‘এ দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও আধুনিক নয়। আরও ব্যবহারিক এবং প্রয়োগনির্ভর শিক্ষার প্রয়োজন,’’ বলেন তিনি। তার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ছোটদের একটি বার্তা দেন—‘‘স্বপ্ন দেখো। মনে রেখো, স্কাই ইজ নট দ্য লিমিট।’’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হিন্দিতে সংযোগ স্থাপনের ঘটনা শেয়ার করেও তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ‘‘প্রথমবার কেউ হিন্দিতে আর্ন্তজাতিক স্পেস স্টেশনে কথা বলেছে।’’ দর্শকদের হাততালি আর উচ্ছ্বাসে অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শুভাংশুর কথায়, মহাকাশে যাওয়া কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ‘‘পৃথিবীর পরিচিত পথ, পাড়া, রাজ্য-দেশ ছেড়ে মহাকাশে যাওয়া ভয়ঙ্কর হলেও অভিজ্ঞতা অতুলনীয়।’’

আরও পড়ুন – SIR এখন গব্বর সিং-আতঙ্ক! সংসদে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব শতাব্দী

_

_

_

_
_


