তথ্য প্রযুক্তি, গবেষণা থেকে গ্রাহক পরিষেবা: দেশের উন্নয়নের নেতৃত্বে GCC

Date:

Share post:

একসময়ের একটি সাধারণ সাপোর্ট ডেস্ক। এখন গবেষণা, নকশা ও উন্নয়নে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ভারতে তৈরি হয়েছে ১৭০০-টিরও বেশি গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টার (GCC)। বিদেশী ইউনিটগুলি (Foreign units) তথ্য প্রযুক্তি, গবেষণা এবং গ্রাহক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা প্রদান করে, যা মূল কোম্পানিগুলিকে খরচ কমাতে, দক্ষ কর্মী নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বজুড়ে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ভারতে (India) বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া, IT পরিষেবা, গবেষণা ও উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য GCC স্থাপন করেছে, যা দ্রুত উদ্ভাবনের কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ অর্থবর্ষ- মাত্র পাঁচবছরে তাদের সম্মিলিত আয় বার্ষিক ৯.৮% হারে বৃদ্ধি পেয়ে ৪০.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬৪.৬ বিলিয়ন পৌঁরে পৌঁছেছে। বর্তমানে এই জিসিসিগুলি দেশজুড়ে ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রগতিশীল নীতি ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এই পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, দিল্লি, পুনে, মুম্বই এবং চেন্নাই-এর কেন্দ্রগুলি ভারত গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টারের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছে। গত পাঁচ বছরে ৪০০ -এরও বেশি নতুন জিসিসি এবং ১,১০০-টি ইউনিট তৈরি হয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞান, প্রতিরক্ষা এবং সেমিকন্ডাক্টরের মতো ক্ষেত্রে জিসিসিগুলি ভারতের বাস্তুতন্ত্রকে কেন্দ্রীভূত করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ২,৪০০টি কেন্দ্র এবং ২.৮ মিলিয়নেরও বেশি পেশাদার কর্মী দ্বারা সমর্থিত সেক্টর ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ভারতের GCC বৃদ্ধির প্রধান কারণ পরিকাঠামো, উদ্ভাবন, প্রতিভা বিকাশ এবং সহায়ক নীতিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা। ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে, সহযোগিতা করতে এবং উদ্ভাবন করতে পারছে। স্টার্টআপগুলিকে বাড়িয়ে তোলা থেকে শুরু করে ডিজিটাল দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা পর্যন্ত, এই পরিবেশটি জিসিসিগুলির উন্নতি লাভ ও রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের জিসিসিগুলি এখন আর শুধুমাত্র ব্যাক-অফিস নয়, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো ক্ষেত্রে কৌশলগত গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে-ও পরিণত হয়েছে। দক্ষ কর্মীবাহিনী, ব্যবসায়িক সংস্কার এবং উদার এফডিআই নীতির সহায়তায় এই পরিবর্তন ভারতকে ডিজিটাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে এবং উচ্চ- প্রযুক্তির শিল্পজগতে স্বনির্ভরতা বাড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন – বাংলার বস্ত্রশিল্পের গৌরব পুনরুদ্ধারে মসলিন তীর্থ, নদিয়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

মোহনবাগানে ক্লাস শুরু লোবেরার, অনুশীলন থেকে বেরিয়ে গেলেন আপুইয়া

মোহনবাগানে কোচিং ইনিংস শুরু করলেন সার্জিও লোবেরা(Serjio Lobera)।  বৃহস্পতিবার থেকে মোহনবাগান অনুশীলনে যোগ দিলেন নতুন কোচ। মঙ্গলবার গভীর...

সংসদে মাতঙ্গিনীর নাম বিকৃতি বিজেপির সাংসদের! বহিরাগতদের ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলা সম্পর্কে শুধুমাত্র অজ্ঞতা নয়। প্রবল বাংলা বিরোধিতা থেকেই বিজেপির নেতারা বাংলার মনীষীদেরও যে স্বীকৃতি দিতে চান না,...

রাজ্যের উন্নয়নকে গতি দিতে এক দিনে ২০ হাজার ৩০ কিমি রোড প্রজেক্টের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর 

রাজ্যের সর্বত্র উন্নয়নের কাজ আরও এগিয়ে নিতে এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর থেকে...

বাংলার বস্ত্রশিল্পের গৌরব পুনরুদ্ধারে মসলিন তীর্থ, নদিয়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী 

রাজ্যের প্রায় বিলুপ্তপ্রায় মসলিন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার—এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নদিয়ার জনসভা থেকে...