ফুটবলের মক্কায় নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা। মেসি(Messi) ইভেন্টে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। ঘটনার পরই ফেডারেশন, আইএফএ-র পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে দায় ঠেলা হল উদ্যোক্তাদের কোর্টেই।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বার্তায় বলা হয়েছে, এটি একটি বেসরকারি পিআর সংস্থার আয়োজিত অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানের সংগঠন, পরিকল্পনা বা নির্বাহের কোনো ক্ষেত্রেই আইএফএফ-র কোনোও ভূমিকা ছিল না। এমনকি অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য ফেডারেশনকে জানানোও হয়নি, এবং এআইএফএফ-এর কাছ থেকে কোনো ছাড়পত্রও চাওয়া হয়নি।
ফেডারেশন সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। তাদের মতে, জড়িত সকল ব্যক্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
আইএফএ-র পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, রাজ্য ফুটবল সংস্থা আইএফএ আজ বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী প্রসঙ্গে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। আইএফএ সুস্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম নক্ষত্র লিওনেল মেসি(Messi), লুই সুয়ারেজ ও রদ্রিগেজ ডি পল কে নিয়ে এই অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবেই একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগ। আইএফএ কোনও ভাবেই এই উদ্যোগে জড়িত ছিলনা। কেউ এই উদ্যোগ নিয়ে আইএফএর অনুমতি বা পরামর্শ নেয়নি। আমরা সমস্ত ক্রীড়ামোদী মানুষকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
সমর্থকদের পাশে দাড়িয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, অনেকেই দূর-দূরান্ত ভ্রমণ করেছেন এবং তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন, কেবল মেসির প্রতি ভালোবাসা থেকেই। মেসির প্রতি ভালোবাসা ভাগ করে নিলে, আমি যা আশা করেছিলাম তা ছিল না। আজ সেই ভক্তদের সাথে দাঁড়িয়ে আছি। যখন প্রত্যাশা অভিজ্ঞতার চেয়ে বেশি হয়, তখন বাস্তবতা এভাবেই সাড়া দেয়।
কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনাটিকে বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মেসি এলেন চলে গেলেন। কিন্তু যুবভারতীর যা ক্ষতি হল তার দায় কে নেবে। যুবভারতী সাড়াতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। ফলে আইএসএল জানুয়ারিতে শুরু হলে আদৌও কি এই মাঠে ম্যাচ করা যাবে, প্রশ্ন উঠছে।
–
–
–
–
