একই দেশের দুই শহর। ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। কলকাতায় যেখানে মেসির শো সুপার ফ্লুপ, তখন মেসি( Lionel Messi) ম্যাজিকের সাক্ষী থাকল হায়দরাবাদ। দুপুরেই গ্রেফতার হয়েছেন মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। কিন্তু হায়দরাবাদের অনুষ্ঠান হল সহজ-সরল-সাবলীলভাবেই। এক কথায় শতদ্রুকে ছাড়াই সুপার হিট নিজানের শহরের মেসি শো।
কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে মেসি( Lionel Messi) সোজা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখান থেকে পাড়ি দেন হায়দরাবাদে। সন্ধ্যাবেলা রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে তিনি তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডির সঙ্গে কিছুক্ষণ পা মেলান তিনি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।তিনি মেসির সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

হায়দরাবাদের উপ্পল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সন্ধ্যা ৬টা থেকেই। মেসির আগমন ঘটল ঠিক সন্ধ্যা ৭.৫৭ মিনিটে। হায়দরাবাদের উপ্পল স্টেডিয়ামে স্লোগানে তাঁকে স্বাগত জানায়য ধীরে ধীরে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তাঁকে ঘিরে ছিল না নেতা মন্ত্রী বা অবাঞ্জিত অতিথিদের ভিড় বা ছবি তোলার হুড়োহুড়ি।

নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে সঙ্গে সঙ্গে ঢুকে যান স্টেডিয়ামে। তখন মাঠে প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ চলছিল। দুই সতীর্থ লুই সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডি’পলকে নিয়ে ভিভিআইপি বক্সে দাঁড়িয়ে সেই ম্যাচ দেখতে থাকেন মেসি।

এরপর মাঠ মাতালেন মেসি। বল গোলে পাঠালেন। খুদে ফুটবলারদের হাতে ট্রফি তুলে দিলেন। পুরোটাই করলেন হাসি মুখে। এরপর মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মেসি বলেন, ‘আজ তথা সব জায়গায় আমি যে ভালবাসা পাই, সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যি কথা বলতে কী, এখানে আসার আগে আমি গোটা জীবনে অনেক ঘটনারই সাক্ষী হয়েছি। বিশেষ করে ২০২২ সালে বিশ্বকাপের পর থেকে। এই ভালবাসার জন্য আপানাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

–

–

–

–


