২০২৬ সালের শুরুতেই উত্তরবঙ্গে(North Bengal) শুরু হতে চলেছে বাঘশুমারি (Tiger Census)। আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের অন্তর্গত তিনটি জঙ্গলে—গরুমারা, চাপরামারি এবং নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান জুড়ে শুরু হচ্ছে বাঘ গণনা। যা চলবে প্রায় দেড় মাস ধরে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘের উপস্থিতি ও গতিবিধি নির্ধারণ করতে বনকর্মীদের পাশাপাশি ব্যবহার হবে শতাধিক ট্র্যাপ ক্যামেরা।
বন দফতরের নথি অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সাতবারের বেশি ট্র্যাপ ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়েছে এই জঙ্গলে। নেওড়াভ্যালির সঙ্গে সিকিম, নেপাল ও ভুটানের বনাঞ্চলের যোগসূত্র থাকায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণী করিডর হিসেবে পরিচিত। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারিতে লাভা থেকে পেদং যাওয়ার রাস্তায় নিজের মোবাইলে এক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি তোলেন স্থানীয় যুবক আনমোল ছেত্রী। তারপরেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় বন দফতরে। ২৩ জানুয়ারি প্রথমবার সরকারি ভাবে ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়ে। এরপর ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় বসানো ক্যামেরায় মোট ২৪টি বাঘের ছবি রেকর্ড হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে দাবি।

তবে এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (NTCA)-র অধীনে প্রকাশিত ন্যাশনাল টাইগার সেন্সাস রিপোর্ট ২০২২-এ নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানে বাঘের উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়নি। এবার ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে পরবর্তী জাতীয় বাঘ শুমারি শুরু হওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গ বন্যপ্রাণী পর্ষদের সদস্য জয়দীপ কুন্ডু বলেন, “নেওড়াভ্যালিতে লোক সমাগম অনেক কম। সিকিমের পাংলাখা অভয়ারণ্য ও ভুটানের টোরসা স্ট্রিক্ট রিজার্ভ ফরেস্টের সঙ্গে এর সীমানা যুক্ত। দুই রাজ্য ও দুই দেশের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এটি একটি স্বাভাবিক করিডর। এখানে বাঘের উপস্থিতি অস্বীকার করা যায় না। তবে তাদের বাসস্থান ও চলাচল নিয়ে আরও বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”

–

–

–

–

–

–

–


