ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ার ইহুদিদের উৎসব ছারখার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সিডনির হামলাকারীদের! পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। রবিবার ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবের (Hanukkah festival) প্রথম রাত উদযাপনে বন্দুকবাজদের (gunmen) হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। আহত অন্তত ৪০। মৃতদের মধ্যে একজন হামলাকারী সাজিদ আক্রম।
সিডনি পুলিশের (Sydney police) তদন্তে উঠে এসেছে, হামলাকারী দুই বন্দুকবাজ বাবা এবং ছেলে। মৃত্যু হয়েছে ৫০ বছর বয়সী বাবা সাজিদ আক্রমের। জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৪ বছরের নাবিদ আক্রম। সাজিদ যে অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন তা অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে মোট ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ এই ঘটনার সূত্রে। যার মধ্যে দূরের লক্ষ্য ভেদ করার বন্দুক এবং শটগান রয়েছে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ নাগরিকের বন্দুক রাখার অধিকার নিয়ে।
পুলিশের তদন্তে আরও উঠে এসেছে ধৃত নাবিদ আগে থেকেই পুলিশের রাডারে ছিল। ২০১৯ সালে তাকে ছয়মাস ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ (Australia police)। কারণ সন্দেহভাজন কিছু লোকজনের সঙ্গে তাঁর যাতায়াত ছিল। কিন্তু নাবিদ নিরপরাধ প্রমাণিত হয়। সেই সময় নাবিদের সঙ্গে আইএস (ISIS) জঙ্গিদের যোগ পাওয়া গিয়েছিল। আবার রবিবারের হামলার পর মিডিয়ার এক শ্রেণীর দাবী, নাবিদের গাড়িতে আইএস পতাকা পাওয়া গিয়েছে। যদিও এর সত্যতা স্বীকার করেনি অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন।
তবে সাজিদ এবং নাবিদ দুজনেরই কাজকর্ম বেশ কয়েক বছর ধরেই সন্দেহজনক ছিল। ১৯৯৮ সালে সামান্য ছাত্র হিসাবে (student visa) অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) গিয়ে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যায় সাজিদ। এরপর নাবিদের জন্ম হয় অস্ট্রেলিয়াতেই। তবে নাবিদ যে সংস্থায় কাজ করতেন সেখানে তিনি যথেষ্ট পরিশ্রমী ছিলেন, জানাচ্ছেন সহকর্মীরা। তবে গত পাঁচ মাস তাকে কাজে যোগ দিতে দেখা যায়নি। হাত ভাঙার অজুহাতে ২০২৬ পর্যন্ত ছুটি নিয়েছিল সে।
আরও পড়ুন :হনুক্কা উৎসবের মধ্যেই সিডনির বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণ, মৃত অন্তত ১০
আবার, এমন ঘটনা যে ঘটাতে পারেন সাজিদ এবং নাবিদ, বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাদের প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশী এবং মানুষ হিসাবেও তারা ভালো ছিলেন বলে অভিজ্ঞতার কথা জানান প্রতিবেশীরা। তবে সিডনির বন্ডি বিচে হামলার ঘটনায় যাতে নতুন করে কোনও হিংসা না ছড়ায় তার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানেস।
–
–
–
–
