অপরাজিতা সেন
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন তৈরির মূল কৃতিত্ব বামফ্রন্টের নয়। কৃতিত্ব রাজীব গান্ধীর (Rajiv Gandhi)। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এর শুরু। কেন্দ্র টাকাও দিয়েছিল।
সুভাষ চক্রবর্তী (Subhash Chakroborty) ক্রীড়ামন্ত্রী থাকাকালীন এর জমি প্ল্যান বদলে কখনও হায়াত হোটেলকে দেওয়া হয়, কখনও তাঁর পেটোয়া নেতাদের নামে নানা বেসরকারি সংগঠনকে দেওয়া হয়, কখনও ফেরার দুষ্কৃতীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে যুবভারতী হয় দখলমুক্ত। সেজে ওঠে বিশ্বমানের চেহারায়। তখন ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। পরে অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। অরূপের আন্তরিক চেষ্টাতেও পরের পর পালক যোগ হয় যুবভারতীর মুকুটের। একের পর এক বড় খেলা, ইভেন্ট। প্রায় একশোর কাছাকাছি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অরূপের সময়ে সাফল্যের সঙ্গে হয়েছে। গুয়াহাটি পারেনি বলে জরুরি ভিত্তিতে এখানে খেলা হয়েছে। রেকর্ড দর্শকসংখ্যা নিয়ে বিশ্ব যুব ফুটবলের (Football) শীর্ষ ম্যাচ হয়েছে।
তাহলে এবার ম্যাচ ছাড়া স্রেফ মেসির (Lionel Messi) উপস্থিতির অনুষ্ঠান এমন হল কেন? তাহলে কি যুবভারতীকে সামনে রেখে বাংলাকে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা হল? আয়োজক শতদ্রু দত্তরা ক্রীড়ামন্ত্রীকে সবিস্তারে কিছু জানাননি। কোনও কার্যকরী বৈঠকে আসেননি। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং আয়োজকদের নিরাপত্তাবাহিনী সর্বনেশে ঘেরাটোপ করে দিয়ে দর্শকদের সমস্যা করেছে। আয়োজকদের বাড়তি লোক মাঠে ঢুকেছে। প্রবেশপত্রের যুক্তিগ্রাহ্য হিসেব নেই।
আরও পড়ুন : যুবভারতী ভাঙচুরের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি: গ্রেফতার ২
ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে অরূপ তো মাঠে থাকবেনই। মারাদোনার সময় সুভাষ চক্রবর্তী (Subhash Chakroborty) যা করেছিলেন, তাতে বিরক্ত মারাদোনা (Maradona) পরের অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “ওই সাদা টুপি থাকলে আমি যাব না।” এখানে মেসি নিজে হেসে অরূপকে ডেকে জড়িয়ে ধরেছেন। তার পরেও অরূপকে টার্গেট করা হচ্ছে অঙ্ক কষে। আয়োজকরা অরূপকে কিছু জানায়নি। তবে অরূপ স্টেডিয়ামের (Yuba Bharati Stadium) পরিকাঠামো পুরো তৈরি রেখেছিলেন। আয়োজকরা নিজেরা কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। অরূপকে বসিয়ে রেখেও যাননি। তাহলে এখন অরূপকে দোষ কেন? মেসি যখন ঢুকলেন, ওখানে অরূপ ছিলেন না। ওখানে ওই ভিড় হল কী করে? এই গোটা ঘটনার পিছনে কলকাতাকে কালিমালিপ্ত করার ছক নেই তো?
–
–
–
