লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে নিজেদেরই ব্যর্থতায় নিজেদেরই নীতিভ্রষ্ট বিজেপি। বিজেপি নিজেদের দলেই মেনে এসেছে সব সময় এক ব্যক্তি এক পদ নীতি। অথচ সর্বভারতীয় সভাপতি খুঁজে না পাওয়ায় প্রায় দেড় বছর ধরে মন্ত্রিত্ব এবং সভাপতি – উভয় দায়িত্ব একসঙ্গে সামলে গিয়েছেন জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। অবশেষে কার্যকরী সভাপতি (working president) বেছে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। আর সেখানে বার্তা এক ব্যক্তিকে দীর্ঘদিনের জন্য কিভাবে সভাপতি পদে টিকিয়ে রাখা যায়, এমনটাই। অর্থাৎ যেভাবে মন্ত্রিত্বে বিজেপি নেতারা মৌরুশিপাট্টা কায়েম করতে চায় সেভাবেই এবার সভাপতির পদেও। সেই সঙ্গে গো-বলয়ে শাহি (Amit Shah) জমানা কায়েম করতে এক দক্ষ ঘোড়া বাছল বিজেপি।
বিহারের মন্ত্রী নিতিন নবীনকে কার্যকরী সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে রবিবার। মাত্র ৪৫ বছরের নিতিন (Nitin Nabin) বিজেপির সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি। তবে তাঁর রয়েছে ২ দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ার। যার মধ্যে তিনি পাঁচবারের বিধায়ক। বর্তমানে বিহারের পিডাব্লিউডি মন্ত্রী (PWD minister)। নবীন বিহার (Bihar) ছাড়াও ছত্রিশগড়, সিকিমে বিজেপির রাজনীতি সামলানোর কাজ করেছেন। দিল্লি নির্বাচনের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে যুব সমাজের ওপর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে যুব মোর্চার (Yuva Morcha) সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকার কারণে।

যুব সমাজের প্রতিনিধিত্ব করা নিতিন নবীনকে সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি নির্বাচন করে বিজেপি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতের সর্বভারতীয় সভাপতি পদ তাকেই দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে যুবসমাজকে কাছে টানার বার্তা বিজেপির তরফ থেকে থাকলেও আদতে লুকিয়ে রয়েছে পিছনে অন্য ইঙ্গিত।

আরও পড়ুন : মারাদোনার সফরেও হয়েছিল বিশৃঙ্খলা, বাম শিবিরকে অতীত মনে করালেন কুণাল

নিতিন নবীনকে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচনে বড় ভূমিকা ছিল অমিত শাহর। তিনিই প্রথম নবীনকে বেছে নেন। আর এর পিছনে তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা এবং রাজনৈতিক দল পরিচালনায় ভারসাম্যকেই দেখেছে বিজেপি। তবে অল্প বয়সি সভাপতি বেছে নিয়ে দীর্ঘদিন এক পদে রেখে দেওয়ার সুবিধার কথা ভাবা হয়েছে। যাতে ফের একবার সর্বভারতীয় সভাপতির (National President) খোঁজ করতে গিয়ে বছর পার করতে না হয় বিজেপিকে। সেই সঙ্গে অমিত শাহর হাতের লোক হওয়ায় ফের একবার বিজেপির শাহি ক্ষমতা কায়েম করা।

বিশেষত, গো-বলয়ে অমিত শাহর শক্তি প্রতিষ্ঠা করার পথ প্রশস্ত হল এভাবে। নিতিন যোগী আদিত্যনাথের প্রতিপক্ষ হিসাবে পরিচিত বিজেপিতে। নিতিনের ছত্তিশগড়, দিল্লি, বিহারে রাজনৈতিক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করছেন শাহ। ফলে গো-বলয়ে যোগীর (Yogi Adityanath) প্রভাব খর্ব করতে শাহর পরিকল্পনায় যে নিতিন (Nitin Nabin) আসছেন, তা বলাই বাহুল্য।

–

–

–

–


