এসআইআর-এর প্রথম পর্বে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার তোলা একের পর এক দাবি রাতারাতি উধাও। বাংলা থেকে এক কোটি মানুষের নাম বাদ যাবে, বলে রীতিমতো হুংকার তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। মঙ্গলবার খসড়া তালিকা (draft voter list) প্রকাশের পর মিলল না তাঁর সেই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’। কার্যত বিজেপি যে বাংলার মানুষের মধ্যে হয়রানির রাজনীতি চালাচ্ছে এবং আদতে যারা বাংলা বিরোধী, মঙ্গলবার সেটাই প্রমাণিত হল, দাবি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের।
কার্যত খসড়া তালিকা প্রকাশের পর প্রমাণিত হয়েছে, মূলত ন্যায্য হিসাবেই বাদ পড়েছে ভোটারদের নাম। তবে তাড়াহুড়ো করে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে ভুলও প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। তা নিয়ে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের তোপ, এক কোটি বাংলাদেশি (Bangladeshi), এক কোটি রোহিঙ্গা (Rohinga)। কোথায় গেল? কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিছু মানুষের ঠিকানার পরিবর্তন হয়েছে। আবার তৃণমূলের এক কাউন্সিলর। তাঁর নাম এসেছে মৃতের তালিকায়। অথচ তিনি বেঁচে রয়েছেন। এভাবে বহু মানুষের জীবিত অবস্থায় মৃতের তালিকায় নাম।
তবে মঙ্গলবার খসড়া তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ফের মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল কর্মীরা। কি করছেন তাঁরা? তার ব্যাখ্যা করে কুণাল জানান, আমাদের দলের তরফে আবার প্রতিটি বুথে নাম পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেন একটিও ন্যায্য ভোটারের (valid voter) নাম বাদ না পড়ে। আমরা সবটা প্রকাশ্যে আনব। যাতে প্রমাণিত হয়, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) কী চাইছে। যদি বৈধ কোনও ভোটারের নাম বাদ যায়, আমাদের টিম তাঁর পাশে থাকবে। যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁদের নাম কীভাবে ঢোকানো যায়, দেখা হবে।
আরও পড়ুন : কমিশনের তালিকায় জীবিত কাউন্সিলর হলেন মৃত! প্রতিবাদ করলেন শ্মশানে গিয়ে
কিন্তু খসড়া তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির যে চরিত্র বাংলার মানুষের সামনে প্রকাশিত হল, তা স্পষ্ট করে কুণালের দাবি, বিজেপি কত বড় মিথ্যা বলেছে তা প্রমাণ হয়ে গেল। এর থেকে আরও প্রমাণিত হল, প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। দ্বিতীয়ত, বিজেপি বাংলার মানুষের পাশে নেই। শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikary) বলছেন তাঁদের সঙ্গে কমিশনের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। কমিশনকে তাঁরা দলের শাখা সংগঠনের মতো দেখছেন। তাঁরা জানেন, তাঁদের দেওয়া নির্দেশ দিয়ে লোককে কীভাবে হয়রান করতে হবে। দিল্লির নেতাদের ইডি, সিবিআই ছিল। এখন নির্বাচন কমিশন। শুধু বাংলার মানুষের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নেই।
–
–
–
–
–
