ফের আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘিনীর (Tigress) মৃত্যু। বুধবার সকালে একটি সাব অ্যাডাল্ট রয়্যাল বেঙ্গল বাঘিনীর মৃত্যু হয়। এই নিয়ে গত তিনমাসে তিনটি বাঘিনীর মৃত্যু হল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সূত্রের খবর, গত তিন চারদিন ধরে অসুস্থ ছিল নন্দনকানন (Nandankanan) থেকে আনা ওই বাঘিনী।
গত সেপ্টেম্বরে আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipur Zoo) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই বাঘিনী পায়েল ও রূপার মৃত্যু হয়। অবশ্য ওই দুই বাঘিনীরই বয়স হয়েছিল। কিন্তু এই বাঘিনী এখনও প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি। ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে নন্দনকাননে জন্মেছিল সে। গত বছর অগাস্ট মাসে নিয়ে আসা হয় আলিপুরে। তার বয়স মাত্র ২ বছর ১০ মাস। আলিপুরে বাঘের প্রজননের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। আলিপুর চিড়িয়াখানায় হলুদ কালো বাঘেদের সংখ্যা কমে দাঁড়ালো তিনটি। যার মধ্যে বাঘিনী রয়েছে মাত্র একটি।

যৌবনের আগেই বাঘিনীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipur Zoo) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রাণি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উৎপল দাস জানান, মূলত টিকস থেকে এই হেমো প্রোটোজোয়া প্যারাসাইট হয় বাঘ, কুকুর বিড়ালদের। এটি রক্তে সংক্রমণ ছড়ায়। তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে এবং সময় মত চিকিৎসা করলে এই রোগ সেরে যায়। সাধারণত রুটিন মাফিক রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। যদি রক্তে (Blood) হোমো প্রোটোজোয়া প্যারাসাইট লক্ষ করা যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করলে একদম সুস্থ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ওই বাঘিনীর রুটিন মাফিক রক্ত পরীক্ষা হয়েছিল কি না সেটা স্পষ্ট নয়। তবে সময়মতো চিকিৎসা করা হলে এই রোগে মৃত্যু এড়ানো যায়।

অরণ্য ভবন সূত্রে খবর, ওই বাঘিনী হেমোপ্রোটোজোয়ান প্যারাসাইটে আক্রান্ত ছিল। ভুগছিল। আলিপুর পশু হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে তার মৃত্য হয়। বাঘিনীর ময়না তদন্ত হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ভিসেরা পরীক্ষায় পাঠিয়েছে নমুনা। ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

–

–

–

–

–

–


