খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এক দিন আগেই প্রকাশিত খসড়া তালিকায় ৫৮ লক্ষের বেশি নাম বাদ পড়েছে—এই অভিযোগ উঠতেই তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তালিকা প্রকাশের দিনই ভবানীপুরে দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ বার কলকাতায় (Kolkata) দলের বিএলএ-দের নিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ ডিসেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলি জেলার একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন এই বৈঠক হওয়ায় রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এসআইআর প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যায়, সে বিষয়ে প্রথম থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য যাচাই করেন এবং কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ না পড়ে, সে দিকে নজর রাখেন।

খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। কোথাও জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনির একটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের নামও খসড়া তালিকায় মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাগুলিকে হাতিয়ার করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির।

এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, খসড়া তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিকেও প্রয়োজনে শুনানিতে ডাকা হতে পারে। ফলে চূড়ান্ত তালিকায় যাতে কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যায়, সে জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে চাইছে তৃণমূল।

শুনানি শুরুর এক দিন আগেই কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি ইনডোরের এই বৈঠক থেকে বুথস্তরের নেতাদের উদ্দেশে কী নির্দেশ দেন তিনি এবং ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে দল কোন কৌশল নেয়, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।

–

–

–

–

