সংসদের ভিতরে ই-সিগারেট ব্যবহারের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর সংসদে এই অভিযোগ তোলেন। কারও নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের দিকে ইঙ্গিত করেন বলে অভিযোগ। বুধবার বিজেপির তরফে প্রকাশিত একটি ফুটেজে তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদকে দেখা যায় বলে দাবি করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, ফুটেজ না দেখা পর্যন্ত তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। তিনি বলেন, সংসদ ভবনে কম করে একশোর বেশি ক্যামেরা রয়েছে। যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তবে অফিশিয়াল ফুটেজ প্রকাশ করা হোক। প্রয়োজনে দলীয় স্তরে তদন্তের ব্যবস্থাও করা হবে। তবে কোনও ঝাপসা বা অস্পষ্ট ভিডিও দেখে তৃণমূল কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে না বলেই জানান তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অভিষেক আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে একের পর এক হোয়াটসঅ্যাপ লিক করে প্রশ্ন ছুড়ছে, এভাবে চলতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে সংসদের ভিতরে নিয়মভঙ্গের বিষয়টিও নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সময় থেকেই সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সংসদ চত্বরে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ধূমপানের অনুমতি থাকলেও অধিবেশন কক্ষে বসে ধূমপান শিষ্টাচারবিরোধী বলেই মত তাঁদের।

এই ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে দু’টি প্রশ্ন ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রথমত, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ই-সিগারেট সংসদের ভিতরে প্রবেশ করল। দ্বিতীয়ত, সংসদের ভিতরের সেই ভিডিও কীভাবে বাইরে এল?উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভারতে ই-সিগারেট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০১৯ সালের ইলেকট্রনিক সিগারেট নিষেধাজ্ঞা আইন অনুযায়ী ই-সিগারেট তৈরি, আমদানি, বিক্রি এবং প্রচার—সবই আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোপনে ই-সিগারেট বিক্রির অভিযোগ আগেও উঠেছে। সংসদের ভিতরের এই ঘটনা সেই অভিযোগকেই আরও উসকে দিল বলে মনে করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন- একাধিক অভিযোগে কাঁথি পুরবোর্ডকে শোকজ! সাত দিনের সময় বেঁধে দিল রাজ্য

_

_

_

_

_
_

