উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর ইকো পার্ক সংলগ্ন ঘুনি এলাকার মাঝের পাড়ায় ভয়াবহ আগুন লাগে। বাগজোলা খালপাড়ের ঝুপড়িগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কতগুলি ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছে, আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত এবং কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত, সে বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কতটা এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়েছিল, সে সম্পর্কেও দমকলমন্ত্রীর কাছে জানতে চান তিনি। এর পরই গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় প্রায় ২০০টিরও বেশি ঝুপড়ি রয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় প্রথমে দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে ঢুকতে সমস্যায় পড়তে হয়। আগুন নেভানোর কাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও হাত লাগান। পরিস্থিতি সামাল দিতে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, পরপর কয়েকটি ঝুপড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান দমকল কর্মীরা।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, তিনি গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। আগুন পুরোপুরি নেভার পরই কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, একাধিক ঝুপড়িতে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের সামগ্রী থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুন যাতে আরও না ছড়ায়, সে জন্য দমকল কর্মীরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছেন। দমকলমন্ত্রী আরও জানান, আগুন নেভানোর কাজে প্রায় কুড়িটি ইঞ্জিন নামানো হয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও ইঞ্জিন কাজে লাগানো হবে। তবে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু ঝুপড়িবাসীর সর্বস্ব পুড়ে যাওয়ায় শীতের রাতে খোলা আকাশের নিচেই তাঁদের আশ্রয় নিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

_

_

_

_

_

_
_

